বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করার দাবি অমূলক জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন খালেদা জিয়া। সুতরাং, বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করার দাবি অমূলক। গতকাল সোমবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া যেন সর্বোচ্চ চিকিৎসা পান, এজন্য সরকার সব পদক্ষেপ নিয়েছে। খালেদা জিয়ার পছন্দ মতোই হাসপাতাল ও চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে। এ কারণে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবাই পাচ্ছেন খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনা তার প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে খালদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছেন, তিনি যাতে ভালো থাকেন। এখন তিনি ঘরে অবস্থান করছেন এবং ভালো আছেন। গত ২০ বছর ধরে খালেদা জিয়ার এই সমস্যা চলছে। এই সমস্যার চিকিৎসা বাংলাদেশেই হচ্ছে। সুতরাং, বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করার দাবি অমূলক।’
পৃথিবীর সব দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাই বাংলাদেশেও জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন থাকা যথাযোগ্য ও যৌক্তিক।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভোটার আইডি কার্ড এক বিষয় নয়। জাতীয় পরিচয়পত্র জন্মগ্রহণ করার পর থেকে আমৃত্যু পর্যন্ত দেওয়া হয়। দেশের সব নাগরিককে এই জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। পৃথিবীর সব দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে, অথবা অন্য মন্ত্রণালয়ের অধীন থাকে। এটা নির্বাচন কমিশনে থাকে না। নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা নিয়ে কাজ করে। যখন এটি একটি প্রকল্প ছিল ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য, তখন এটি নির্বাচন কমিশনের অধীন
ছিল এবং এটা যৌক্তিক ছিল। যখন এটা জাতীয় পরিচয়পত্র করা হচ্ছে, তখন এটি সরকারের কাছে বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা যথাযোগ্য যৌক্তিক, পৃথিবীর সব দেশেই তাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার তথ্য-উপাত্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংগ্রহ করে। বিদেশে যারা অবস্থান করেন, তাদের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। এখানে যে সিদ্ধান্ত দেওয়া-নেওয়া হয়েছে, এটা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতোই যথাযথ যৌক্তিক। ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেওয়ার জন্য ১৮ বছর পর্যন্ত অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নির্বাচন কমিশন থেকে যে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে, এটি অবান্তর।’
এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২১’ উপলক্ষে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা ‘মানস’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ধূমপান নিয়ন্ত্রণে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ধূমপানমুক্ত করা উল্লেখযোগ্য। এখন প্রকাশ্যে ধূমপান করলে জরিমানা করা হয়। এখন মানুষ আর প্রকাশ্যে তেমন ধূমপান করে না। ধূমপানের মধ্যে মানুষ মাদকাসক্ত হয়।’ মাদকাসক্ত ব্যক্তি শুধু তিনি নিজেকে ধ্বংস করে তা নয়, তার পরিবারকেও ধ্বংস করে। পিতামাতার অজান্তে ছেলেরা ধূমপায়ী হয়ে যায়। এজন্য খেয়াল রাখা জরুরি।’