কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের সীমানায় কাশিম বাজার লকিয়ার পাড় এলাকায় তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।গত তিন দিনে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, দোকান, মসজিদ স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। সরেনজমিনে দেখা যায়, বন্যা শুরুর আগে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তিস্তা নদী তার ভয়াল রুফ দেখতে শুরু করছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় দেখা যায় ঘরবাড়ি সহ আসবাবপত্র সরিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর। নদী থেকে দূরে গিয়ে কোন রকমে থাকার মতো চালা ঘর তুলছেন। থাকার ব্যবস্থা হলেও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ভাঙ্গন কবলিতদের। বৃষ্টির পানি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদী সংলগ্ন চরের জমির উঠতি ফসল সহ ভসত বাড়ি বিরীন হচ্ছে নদীর তীরবর্তী মানুষের। তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে কাশিম বাজার হাট, নাজিমাবাদ স্কুল, কাশিম বাজার বালিকা বিদ্যালয় সহ সহ¯্রাধিক বাড়িঘর ঝুঁকিতে পরেছে। ভাঙ্গন কবলিত পরিবার গুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদিকে করোনা ভাইরাস অন্যদিকে তিস্তার অব্যাহত ভাঙ্গনের মুখে এখন দিকে তিস্তা পারের মানুষ। সোমবার নদীর ভাঙ্গনে ৫টি আধাপাকা ঘর বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের শিকার আহমেদ আলী বলেন, নদী হামারগুলার সউক কাড়ি নিছে বাহে। এ্যাকনা ঘর, তাকো অবিব্যার নদীতে চলে গ্যাছে। হ্যামারগুলার অ্যাখোশি নদী বাড়ি-ভিটা, জমা-জমি, ঘর-বাড়ি সউক খ্যায়া ফ্যাল্যাছে। হ্যামরা এ নদী ভাঙার সমাধান চাই। হাছিনা বিবি বলেন, ঘর-বাড়ি নদী ভাঙ্গি নিছে, ছ্যাওয়া-পোওয়া নিয়ে উদাং আসমানের তরে আছি। সরকারের কা-পোওয়া নিয়ে উদাং আসমানের তরে আছি। সরকারের কাছে দাবীÑনদী ভাঙ্গনের হাত থ্যাকি বাঁচতে চাই। বজরা ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আমিন বলেন, আমার ইউনিয়ন ও হরিপুর ইউনিয়ন সীমানায় তিস্তা নদীর তীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতো মধ্যেই বেশ কিছু ঘরবাড়ি , দোকান-খামার, মসজিদ নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ব্যাপাক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে-এ-জান্নাত রুমি বলেন, নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা দেয়া হবে।