দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের আশুড়ার বিল এলাকায় শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যানে রেস্ট হাউজ নির্মানে জায়গা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের মধ্যে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। বন বিভাগ নির্মান কাজে বাধা দেওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। জানা গেছে, শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যানে দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু নির্মানের ফলে ঐ এলাকায় দর্শনার্থীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি রেস্ট হাউজ নির্মানের প্রকল্প গ্রহণ করে। কিন্তু ভবন নির্মানের জায়গা নির্দ্ধারণ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের মধ্যে রশি টানাটানি শুরু হয়। সম্প্রতি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেফাউল আজম স্থানীয় ঠিকাদারের মাধ্যমে স্থাপনা নির্মানের কাজ শুরু করেন। বন বিভাগের চরকাই রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার, স্থাপনা নির্মানের জায়গাটি বন বিভাগের দাবি করে পূর্বানুমতি ছাড়া অবৈধ নির্মান কাজে বাধা প্রদান করলে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বন বিভাগের জায়গার পাশে সরকারি খাস জমি থাকলেও সেখানে স্থাপনা নির্মান না করে বন বিভাগের জমিতে জোর পূর্বক স্থাপনা নির্মান কেন করা হচ্ছে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। ঐ কাজের ঠিকাদার মতিবুর রহমান বলেন, বন বিভাগ কাজে বাধা প্রদান করেছে। এদিকে বন বিভাগের চরকাই রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার স্থাপনা নির্মানে বাধা দেওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে ঠিকাদার মতিবুর রহমান ও তার পক্ষের লোকজন বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন করে পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে করে ফেলেছে। রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার বলেন, বন বিভাগের জমিতে কোন ভাবেই স্থাপনা নির্মাণ করতে দেওয়া হবেনা। বাধা দেওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে, যা আদৌ সত্য নয়। নবাবগ্ঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেফাউল আজম বলেন, ঐ এলাকায় বন বিভাগের জায়গায় ইতিপূর্বে কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। সে সময় বন বিভাগ কোন বাধা প্রদান না করলেও এখন বাধা প্রদান করায় নির্মান কাজ স্থগিত করা হয়েছে। নবাবগ্ঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ সোম বলেন, আমি নতুন এসেছি। অফিসিয়াল ভাবে আমাকে এখনও কেউ কিছু জানায়নি। অভিযোগ পেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।