করোনাভাইরাসে মারা গেলেন পুলিশের আরেক সদস্য। এই নিয়ে করোনায় পঞ্চম পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হলো। মৃত পুলিশ সদস্যের নাম উপপরিদর্শক এসআই সুলতান। তিনি মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত ছিলেন।
শনিবার (২ মে) সকালে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের সুপার হাসান উল হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল ৬টা ৫৩ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ৩০ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হন। তার আগে থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল বলে জানান তিনি।
পুলিশ সদরদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের সম্মুখযোদ্ধা আরও এক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালনকালে করোনা আক্রান্ত হয়ে জীবন উৎসর্গ করলেন। দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্ম-উৎসর্গকারী এ পুলিশ সদস্য সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) সুলতানুল আরেফিন (৪৪)। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে কর্মরত ছিলেন।’
তিনি জানান, সুলতান আরেফিনের করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। শনিবার ভোরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলায়। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্রসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।
সুলতানসহ এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ৫ সদস্য করোনাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করলেন। মৃত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন- ওয়ারী ট্রাফিক পুলিশের জসিম উদ্দিন, ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট দক্ষিণ বিভাগের এএসআই মো. আবদুল খালেক, ডিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের কনস্টেবল মো. আশেক মাহমুদ, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) এসআই নাজির উদ্দিন।
এমআর