বাগেরহাটের চিতলমারীতে জোরপূর্বক এক কৃষকের ঘের দখল করে মাছ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখলদারদের হুমকির মুখে ওই কৃষক পরিবারটি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাবোখালী গ্রামের কৃষক প্রকাশ মজুমদার কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, তিনি প্রতিবেশি সতীশ ঢালীর কাছ থেকে একটি জায়গা ক্রয় করে সেখানে বাড়ি-ঘর তৈরি করে দীর্ঘদিন বসবাস করছেন। ওই জায়গার সামনে পানিউন্নয়ন বোর্ডের একটি জলাশয় বরাদ্দ নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছেন। গত ৪ জুন শুক্রবার ওই জলাশয়টি প্রতিবেশি ধীরেন্দ্র নাথ ঢালী, বিরেন্দ্র নাথ ঢালী দেশীয় অস্ত্র ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে দখল নিতে আসে। এ সময় তারা ঘেরের পাড় কেটে মাছ লুট করে পাশ্ববর্তী ঘেরে নিয়ে যায়। ঘেরের প্রায় আড়াই লাখ টাকার চিংড়িসহ অন্যান্য মাছ লুট করে নিয়ে যায় বলে তিনি অভিযোগ তোলেন। এ সময় প্রকাশ মজুমদার ও তার স্ত্রী শান্তি লতা মজুমদার বাধা দিতে গেলে তাদের ধাওয়া করা হলে ভয়ে তারা পালিয়ে আসে। দখলদারদের হুমকির মুখে পরিবারটি বর্তমানে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। ওই দখলদারদের কবল থেকে মাছের ঘের উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কমানা করেছেন। এ বিষয়ে সাবোখালী গ্রামের প্রভাষ মজুমদার জানান, দিন দুপুরে এসে এভাবে ঘেরের মাছ লুটপাট করে নিয়ে যাওয়াটা খুবই দুঃখজনক। প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কৃষক প্রকাশ মজুমদার তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে ধীরেন্দ্র নাথ ঢালীর স্ত্রী তিলোকা ঢালীর সাথে কথা হলে তিনি মাছ লুটের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, প্রকাশ মজুমদার যেখানে বসবাস করছে সেখানে তাদের জায়গা রয়েছে। সেটি তাকে ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। না ছাড়ার কারণে ঘেরের পাড় কাটা হয়েছে। এ বিষয়ে চিতলমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ নিজাম উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে তিনি গিয়েছিলেন, এভাবে ঘের দখলের সাথে যারা জড়িত তারা কাজটি মোটেই ঠিক করেনি। যেহেতু ওই জায়গাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। ওই জায়গাটি আগে থেকে প্রকাশ মজুমদার বরাদ্দ নিয়ে ভোগ-দখল করে আসছে। চিতলমারী থানার ওসি এ এইস এম কামরুজ্জামান জানান, ঘের দখলের বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।