মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

সান্তাহার প্লাবন ভুমি উপ-কেন্দ্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের চমকপদ সাফল্য

আদমদীঘি প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৯ জুন, ২০২১

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইন্সটিটিউট প্লাবন ভুমি উপ-কেন্দ্র সান্তাহার একটি নড়বড়ে গবেষনা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু অবহেলিত এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত গবেষকগণের গবেষনায় একের পর এক মিলছে চমকপদ সাফল্য। এর ফলে এই গবেষনা প্রতিষ্ঠানটি মৎস্য বিভাগের উচ্চ মহলের নিকট থেকে কুড়িয়েছেন ব্যাপক প্রশংসা। বিলুপ্ত প্রায় ছোট মাছ ভেদা ও বাতাসি’র কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদনে সাফল্যে পর এবার সাফল্য মিলেছে সংকটাপন্ন পিয়ালী মাছের কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন কৌশল। এর পুর্বে বিলুপ্ত প্রায় কুচিয়া’র নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন এবং গ্রীনহাউস নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে পাঙ্গাস মাছের কৃত্রিম প্রজনন মৌসুম দুই মাস এগিয়ে নিয়ে আসার কৃতিত্বপুর্ণ সাফল্য দেখিয়েছেন প্লাবন ভুমি উপকেন্দ্র সান্তাহারের ইনচার্য উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ডেভিট রিন্টু দাসের নেতৃত্বাধীন গবেষক দল। ড.ডেভিট রিন্টু দাস সাংবাদিকদের বলেন, ভেদা, বাতাসি এবং পিয়ালীসহ বিলুপ্ত প্রায় ও সংকটাপন্ন ছোট প্রজাতির প্রায় ৩০ প্রকারের মাছের কৃত্রিম প্রজননে পোনা উৎপাদন কৌশল আবিস্কার করা নিয়ে গবেষনা কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। ইতিমেধ্য প্রথম তিনটিতে সফলতা মিলেছে। আরো ২৫ জাতের ছোট মাছের কৃত্রিম প্রজনন নিয়ে গবেষনা কার্যক্রম চলছে। অচিরেই আরোও কয়েকটি মাছের কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদনে সফলতা মিলবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তাঁর নেতৃত্বে এই গবেষনা কাজে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান পাপ্পু এবং মালিহা খানম। তিনি বলেন, সদ্য সাফল্য পাওয়া পিয়ালী মাছটি মলা মাছের চেয়ে আকারে একটু বড়। সুস্বাদু পিয়ালী মাছ এক সময় আত্রাই, বাঙ্গালী, পদ্মা ও যমুনা নদীতে মিলত প্রচুর পরিমানে। কিন্তু অতিমাত্রায় আহরণ এবং পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারনে বর্তমানে সংকটাপন্ন মাছের তালিকায় উঠেছে। ফলে হাটে-বাজারে তেমন একটা মেলে না। তবে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পাওয়া পোনা উৎপাদন কৌশল মৎস্য চাষী পর্যায়ে দেওয়া হবে। এতে করে অচিরেই বিলুপ্ত প্রায় ও সংকটাপন্ন মাছগুলো পাওয়া সহজলভ্য হবে। গবেষনায় তাঁরা দেখতে পায় যে, মে থেকে আগস্ট এবং ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মৌসুমে প্রজননক্ষম পরিপক্ক মা মাছ পাওয়া যায় এবং জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে জলাশয়ে পিয়ালী মাছের উপস্থিতি মেলে। ফলে প্রমানিত হয় যে পিয়ালী মাছের উর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুম মে থেকে আগস্ট এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি। একটি প্রজননক্ষম পরিপক্ক পিয়ালী মা মাছ দেড় থেকে তিন হাজারটি ডিম পাড়ে। গবেষনাকালে গবেষকরা আরো দেখতে পায় যে, একটি পরিপক্ক মা পিয়ালী মাছ ওজনে সাড়ে তিন থেকে ৬ গ্রাম হলেই প্রজনন উপযোগী হয়। তবে পুরুষ পিয়ালী মাছ স্ত্রী পিয়ালী থেকে ওজনে একটু বেশী হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com