রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন

টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ৭ লক্ষণ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১

ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। বর্তমানে প্রায় পরিবারেই অন্তত একজন হলেও ডায়াবেটিস রোগী আছেন! এমনকি বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। অতিরিক্ত ওজন যাদের; এমন ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় দ্বিগুন বেড়ে যায়। আসলে অনিয়মিত জীবযাপনের প্রভাবেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে সবার মধ্যেই। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক অবস্থা টাইপ ২ ডায়াবেটিস হিসেবে বিবেচিত। আপনি টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলেও প্রাতমিক অবস্থায় তা টের পাবেন না! কারণ এর লক্ষণগুলো খুবই সাধারণ, যা সবাই সামান্য ভেবে এড়িয়ে গিয়ে থাকে। অনেকেই নিজের অজান্তে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভুগেন।
প্রায়ই দেখা যায়, ভিন্ন ধরনের কোনো অসুখ বা সমস্যার জন্য যখন রক্ত কিংবা প্রস্রাব পরীক্ষা করানো হয় তখন ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। ডায়াবেটিসের যেকোনো লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্রই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। কিছু কারণে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার কারণ? আপনার বয়স যদি ৪০ বছরের বেশি হয় (দক্ষিণ এশীয়দের ক্ষেত্রে ২৫ বছরের বেশি)। আপনার কোন নিকটাত্মীয়ের (যেমন: বাবা, মা, ভাই অথবা বোন) ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। যদি আপনি স্থূলকায় বা অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হন। আপনি যদি এশীয়, আফ্রিকান-ক্যারিবিয়ান বা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত হন (যদিও বা আপনি অন্য কোন দেশে জন্মগ্রহণ করে থাকেন)।
এবার জেনে নিন টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ৭ লক্ষণ: স্বাভাবিকের তুলনায় ঘন ঘন প্রস্রাব করা, বিশেষ করে রাতের বেলায় বারবার প্রস্রাব হওয়া। সব সময় পিপাসা অনুভব করা। খুব ক্লান্ত অনুভব করা। কোন রকম চেষ্টা ছাড়াই শরীরের ওজন কমে যাওয়া। যৌনাঙ্গের চারপাশে চুলকানো বা বারবার ইনফেকশন হওয়া। কেটে যাওয়া কোনো স্থানের ক্ষত সহজে না শুকানো এবং চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।
এসব লক্ষণগুলোর কোনোটিও যদি আপনার মধ্যে থাকে, পরীক্ষা করিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তার আপনার প্রস্রাব ও রক্ত পরীক্ষা করে রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি আছে কি না তা নির্ণয় করবেন।
যত তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস সনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করে দেয়া যায়, রোগীর জন্য ততই মঙ্গল। শুরু থেকেই চিকিৎসা গ্রহণ করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সঙ্গে অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও অনেক কমে যায়। পরামর্শ: (ডা.তাসনিম জারা, চিকিৎসক, এনএইসএস ইংল্যান্ড; স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়; কো-ফাউন্ডার এবং প্রধান মেডিকেল অফিসার, সহায়।) সূত্র: সহায়




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com