রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পীরগাছা বাজারে দুইটি অটো মুড়ির মিল ২৫ বছর আগে তৈরি করা হয়, মিল দুইটি পীরগাছা উপজেলার মুড়ির চাহিদা পুরন করে মিঠাপুকুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মুড়ির চাহিদা পুরন করেন,শুধু তাই নয় বগুড়ার মুড়ি ব্যবসায়ীদের অনেকেই এখান থেকে মুড়ি পাইকারী নিয়ে যান, এই দুইটি মুড়ির অটো মিল থেকে কাজ শেখে, অন্য মিলে গিয়ে কাজ করছেন অনেকেই, কিন্তু এই দুইটি মুড়ির মিল ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছেন একটি মহল, তারা বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়েছেন, করোনার সময় খাদ্যের চাহিদা পূরণ করেছেন এই মিল দুইটি। একটি মহল প্রচার করছেন চিড়ামুড়ির মিল দুইটি থেকে নির্গৃত ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠছে। বিষয়টি ফেইসবুকে ব্যাপক ভাবে প্রচার করা হচ্ছে। অথচ ১৯৯৫ সালে পীরগাছা ইউনিয়ন পরিষদ মোড়ে ভাই ভাই অটো চিড়া ও মুড়ির মিলটি তৈরি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুস সবুর মিয়া। এবং অন্য একটি মিল রয়েছে বিধাতার দান অটো চিড়া ও মুড়ির মিল নামে পরিচিত। এই দুইটি মিল দীর্ঘ দিন থেকে সুনামের সহিত ব্যবসা করে আসছেন। এর আগে কোন ব্যাক্তি কখনো মিল দুইটির কারনে ধোঁয়া দিয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এমন কোন অভিযোগ কখনো না তুলতে পারলেও। এখন প্রচার করা হচ্ছে মুড়ির মিলের ধোঁয়ায় পীরগাছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আর আব্দুল কুদ্দুস কিন্ডারগার্টেনের ছাত্র ছাত্রীদের শ্বাস কষ্ট হচ্ছে,অথচ এই প্রতিষ্ঠান দুইটি পাঁচ থেকে সাত শত গজ দুরে। এদিকে এক বছর থেকে করোনার কারনে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। পীরগাছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং আব্দুল কুদ্দুস কিন্ডারগার্টেনের সংলগ্ন তিনটি চাতাল থাকলেও সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো প্রকার অভিযোগ করা হয় নাই, অথচ অনেক দুরে অবস্থিত মুড়ির অটো মিলের ধোঁয়া কারনে শ্বাস কষ্ট হচ্ছে, সেগুলো থেকে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে না এমন অভিযোগ করা হয়েছে। আব্দুস সবুরের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, এই মিল দুটি পীরগাছা থানার মুড়ির চাহিদা মিটিয়ে সুন্দরগন্জ গাইবান্ধা এমনকি বগুড়া পর্যন্ত সুনামের সহিত রপ্তানি করে থাকে। সারাদিন তারা এতো পরিমান ব্যাস্ত থাকে যে,তাদের বাহিরের কারা সাথে কথা বলার সময় পান না, আমরা চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারছি না, এই মিল দুইটি বন্ধ করা হলে মুড়ি অন্য স্থান থেক আমদানি করতে হবে, মুলত চার শতক জমি ক্রয় করতে চেয়েছিলেন একজন, মিলের পিছনে হওয়ার কারণে আমরা সেই চার শতক জমি আমরা ক্রয় করি, এই কারনে আমাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের জন্য যদি কেউ অভিযোগ করতো তাহলে চাতাল গুলোর বিরুদ্ধে আগে করতো এই কারনে বলা যায়, তাদের অভিযোগ গুলো সঠিক নয়।