বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ফুসফুস ও কিডনি জটিলতার কারণে বার বার জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসনের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চিকিৎসকদের কাছ থেকে যতটুকু জেনেছি তার(খালেদা জিয়া) হার্টের সমস্যা আছে, সেই সমস্যা না গেলে তার লাংঞ্চে যেভাবে পানি এসে যায় সেটা বন্ধ হবে না। যেটা চিকিৎসক মনে করছেন যে, কিডনি ইজ নট ফ্যাংশনিং পোপারলি। তার লিভারও ঠিকভাবে কাজ করছে না। যে কারণে জ্বর চলে গেলে আবারও তার জ্বর আসছে। গতকাল তার জ্বর এসছিলো।’ এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা তাদের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছেন। যেটা বার বার করে তারা বলছেন যে, আমাদের হাসপাতালগুলো ইকুপ্ট ন্।া তাকে এডভান্স সেন্টারে নিয়ে চিকিতসা করানো উচিত।’
উল্লেখ্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় চলছে। পোস্ট কোভিড নানা জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে খালেদা জিয়া গত ২৭ এপ্রিল বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। এর ৬ দিন পরে (৩ মে) তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয় তাকে। পরে অবস্থার উন্নতি হলে এক মাস পর গত ৩ জুন চিকিতসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হয়। সিসিইউতে থাকা অবস্থায় গত ২৮ মে খালেদা জিয়া হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হন। ৩০ মে তার জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে। গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনামুক্ত হন ৯ মে।