রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন

১০০ পর্বে ‘জমিদার বাড়ি’

বিনোদন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১

খন্ড নাটকগুলোই এখন দর্শকের মূল আগ্রহে। কখনো জনপ্রিয় তারকাদের উপর ভর করে কখনোবা গল্প ও নির্মাণের মুন্সিয়ানায় সারা বছরজুড়েই প্রচুর নাটক থাকে আলোচনায়। তবে তার ভিড়ে কিছু ধারবাহিক নাটকও রয়েছে যেগুলো দর্শক তৈরি করে নিতে পেরেছে। তাদের একটি ‘জমিদার বাড়ি’। বৈশাখী টেলিভিশনের তারকাবহুল এ ধারাবাহিক নাটকের ১০০ পর্ব প্রচার হতে যাচ্ছে আগামীকাল ২৩ জুন বুধবার রাত ৯টা ২০ ও ১১টা ৩০ মিনিটে। সপ্তাহে তিনদিন প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার একই সময়ে প্রচারিত হয়ে আসছে নাটকটি। অভিনয় করেছেন মনোজ সেনগুপ্ত, শম্পা রেজা, আ খ ম হাসান, নাদিয়া মীম, শিল্পী সরকার অপু, সুব্রত, মোমেনা চৌধুরী, শাহনূর, সঞ্চিতা দত্ত, মিলন ভট্ট, সিফাত, ইমতু, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। টিপু আলম মিলনের গল্পে এ নাটকের সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। প্রযোজনায় আছে এশিয়াটিক মাইন্ড শেয়ার।
১০০ পর্বে প্রচার উপলক্ষে পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, ‘দর্শকদের অকৃত্রিম ভালোবাসাই নাটকটিকে এতদূর নিয়ে এসেছে। বিশেষ করে নাটকটি মানসম্পন্ন করার জন্য অভিনয় শিল্পীদের আন্তরিকতা এবং আমার চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। সর্বোপরি নাটকের গল্পের কথা না বললেই নয়। বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন ভাইয়ের গল্প অসাধারণ। কাহিনী দর্শকদেও ভালো না লাগলে কিন্তু নাটকটি এতদূর টেনে আনা সম্ভব হতো না।’

নাটকের কাহিনীকার টিপু আলম মিলন বলেন, ‘নাটকের জন্য প্রতিটি গল্পতেই ভিন্নতা আনার চেষ্টা করি, ধারাবাহিক ‘জমিদার বাড়ি’ও এর ব্যতিক্রম নয়। দর্শকদের ভালোবাসা নিয়ে নাটকটি ১০০ পর্ব প্রচার হচ্ছে জেনে ভালো লাগছে। ভালো গল্প, ভালো অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং ভালো নির্মাতা হলে দর্শক তা দেখবেই। নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে, তিনি নাটকটিকে আরো জনপ্রিয় করে তুলতে পারবেন বলে আমি মনে করি।’ নাটকের গল্প নিয়ে বলতে গিয়ে গল্পকার টিপু আলম মিলন বলেন, জমিদারী প্রথা শেষ হয়েছে সেই কবে। ভগ্নপ্রায় জমিদার বাড়িগুলো এখন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত। জমিদারী প্রথা শেষ হলেও বংশ পরম্পরায় তাদের ঠাট-বাঁট, আচার-আচরণ, চলন-বলন এখনো রয়ে গেছে। নদী মরে গেলে যেমন তার বাঁক রয়ে যায় তেমনি জমিদারী শেষ হলেও তাদের শরীরে রয়ে গেছে জমিদারী রক্ত। জমিদারী রক্তের কারণেই অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না, আশপাশের মানুষকে তাচ্ছিল্য করে, ঘৃণার চোখে দেখে। তাদের চলন বলনে মনে হয় এখনও তারা জমিদার বহাল আছেন। সমাজের সবাই তাদের আগের মতোই সম্মান করবে, কুর্নিশ করবে। তারা মানতেই চায় না এ এক নতুন সমাজ , তাদের জমিদারী আজ আর নেই। কিন্তু তা না থাকলে কি হবে, জমিদারী প্রথার মতোই শ্রেণি বৈষম্য এখন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। নব্য সমাজ প্রতিভূ জমিদারদের দাপটে সুন্দর সমাজ আজ ক্ষতবিক্ষত। সমাজের নানা অসংগতিগুলোই ওঠে এসছে নাটকের গল্পে। তিনি আরো বলেন, নাটকের মূল উপজীব্য ভগ্নপ্রায় মির্জা জমিদারের বাড়ি। এলাকার মানুষের কাছে এ বাড়িটি এখনো অনেক বিস্ময়। প্রচুর ধন সম্পদ আর প্রাচুর্যের কারণে এলাকার মানুষের কাছে তাদের অনেক সম্মান। উপর থেকে এই জমিদার বাড়ির যতই চাকচিক্য থাক ভেতরে ফাটল ধরে গেছে। জমিদার রমজান মির্জা মারা যাবার সময় সমস্ত সম্পত্তি স্ত্রী রাবেয়ার নামে লিখে দিয়ে যান।
রাবেয়ার তিন ছেলে বাদশা, নবাব ও সম্রাট। গ্রামের মানুষ এটাও জানে যে রাবেয়া মির্জা জমিদারের একক স্ত্রী নন। মির্জা এক বাঈজীকে বিয়ে করেছেন। তার ঘরেও সন্তান আছে। এটা জানার পর ক্ষুব্ধ রাবেয়া মির্জা বিশ্বস্ত লোক দ্বারা জমিদার রমজান মির্জাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করান। হত্যার আগে সব সম্পত্তি জোর করে নিজের নামে লিখিয়ে নেন রাবেয়া। কাহিনী যত এগিয়ে যাবে ততই উন্মোচিত হবে একের পর এক নাটকীয়তা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com