আগামী সপ্তাহ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৪ টি দেশ তাদের বাসিন্দাদের কোয়ারেন্টাইন ফ্রি ভ্রমণে ছাড়পত্র দিচ্ছে , তবে শর্ত একটাই যাঁরা ভ্রমণে বেরোবেন তাদের কোভিড ভ্যাকসিনেশন পর্ব সম্পন্ন করতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে ডিজিটাল ভ্যাকসিন পাসপোর্ট। অস্ট্রেলিয়ানরাও একইভাবে তাদের স্মার্ট ফোনে এই ডিজিটাল পাসপোর্ট বহন করছে এবং তারা গত ১৫ মাসের বিশৃঙ্খলা থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে পেয়েছে । ভিক্টোরিয়া ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি কাউন্সিলের (ভিটিআইসি) প্রধান নির্বাহী ফেলিসিয়া মারিয়ানি বলেছেন, “এই স্টপ / স্টার্ট, ওপেন / ক্লোজ, লকডাউন- কে কেন্দ্র করে যে বিশৃঙ্খলা তৈরী হয়েছে তা আপনি সত্যিই কল্পনা করতে পারবেন না। এমনকি পরের সপ্তাহে কী ঘটবে তা কেউ জানে না ” । দেশের পর্যটনমন্ত্রী ড্যান তেহান তাই ভ্যাকসিন পাসপোর্টধারীদের লকডাউনের এই কড়া বিধি থেকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন । যেখানে লকডাউন চলছে সেই রাজ্যের সীমান্তে এই ডিজিটাল শংসাপত্রটি দেখালে প্রাথমিকভাবে যাত্রীরা সেখানে প্রবেশের ছাড়পত্র পাবেন , জানিয়েছেন ড্যান তেহান। এমনকি দুটো ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গেলে এই প্রশংসাপত্রটি দেখলে অস্ট্রেলিয়াতেও আপনি প্রবেশের ছাড়পত্র পাবেন। কোভিড -১৯ ডিজিটাল প্রশংসাপত্রটির অর্থ আপনি করোনা ভাইরাসের কবল থেকে সুরক্ষিত এবং সঙ্গে সঙ্গে সেটি রেকর্ড হয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়ান ভ্যাকসিনেশন রেজিস্টারে।
এই সার্টিফিকেট স্মার্টফোনের এক্সপ্রেস প্লাস মেডিকেয়ার অ্যাপে উপলব্ধ। এর সবথেকে বড় সুবিধা কোনোরকম বাধা বিপত্তি ছাড়াই দেশের মধ্যে যেকোনো স্থানে অবাধে যাতায়াত করা যাবে। ট্যুরিজম অপারেটররা তাই চাইছেন যাতে আরো বেশি করে এই ভ্যাকসিন পাসপোর্টের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। সামুদ্রিক পর্যটন ব্যবসায়ের মালিক নিক্কি গিউমেল্লির দাবি দেশের পর্যটন ক্ষেত্রটি যেভাবে ধাক্কা খেয়েছে তাতে, এই পাসপোর্ট অনেকটাই ক্ষত সরিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। ভিক্টোরিয়া ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি কাউন্সিল দক্ষিণে ভ্রমণ এবং ইভেন্ট শিল্পের দায়িত্বে রয়েছে। মহামারী শুরু হওয়ার এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দীর্ঘতম লকডাউন সহ্য করার পরে, সংস্থার প্রধান নির্বাহী ফেলিচিয়া মারিয়ানি এমন সিস্টেম দেখতে চান যা আরও নিশ্চয়তা ফিরিয়ে আনবে পর্যটন ক্ষেত্রে। তাঁর মতে গোটা দেশের মানুষ টিকা পেলে তবেই একমাত্র এই লকডাউনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। ভ্যাকসিন পাসপোর্ট সেক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন তারা। যখনই আপনি জানবেন আপনার চারপাশের মানুষ ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছেন তখনি আপনি ভিড় জায়গায় বা প্রেক্ষাগৃহে বা কোনো ভরা স্টেডিয়ামে যাবার আত্মবিশ্বাস পাবেন। শুধু তাই নয় এই ডিজিটাল ভ্যাকসিন পাসপোর্ট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন মন্ত্রী ড্যান তেহান।