ভোলায় ৩৩৩ নম্বরে খাদ্য সহায়তা চাওয়ায় মো. ফারুক নামে এক দিনমজুরকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরে আহত ফারুক টাকার অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। জেলার লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ফাতেমাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার মো. ফারুক বলেন, আমি একজন দিনমজুর। করোনার ভাইরাসের কারণে অন্য কাজও নেই, তাই কষ্টে আর অভাব-অনটন দিন কাটছে। এ অবস্থায় প্রতিবেশী মো. আলমের মেয়ে রুমা শুক্রবার (২৫ জুন) ৩৩৩ নম্বরে কল করে আমার জন্য খাদ্য সহায়তা চান। পরে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ফোন করে সেখাতে যেতে বলে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চাল পাইনি। উল্টো ৩৩৩ নম্বরে কল করায় আমাকে ধমকানো হয়। তিনি অভিযোগ করেন, চাল না পেয়ে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন এসে আমার পথরোধ করেন। তারা ৩৩৩ নম্বরে কেন কল করেছি, তা বলে মারধর করে। পরে আহত অবস্থায় আমি বাড়ি ফিরে আসি। টাকার অভাবে ঠিকমতো চিকিৎসাও নিতে পারিনি। তবে মারধর ও শাসানোর অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আবুল কাসেম দাবি করেন, ১০-১৫ দিন আগে ফারুককে ৮০ কেজি জেলে চাল দেওয়া হয়েছে। তাকে আরও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, ফারুককে মারধর তো দূরের কথা কেউ শাসায়নি। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ ফারুককে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল নোমান বলেন, আমাদের কাছে ফারুকের খাদ্য সহায়তার এসএমএস আসলে আমি চেয়ারম্যানকে সহায়তার জন্য বলি। সোমবার (২৮ জুন) শুনেছি ৩৩৩ নম্বরে খাদ্য সহায়তা চাওয়া তাকে মারধর করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। ফারুকের সঙ্গে কথা বলে ও আমি নিজেই বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।