থমকে যাওয়া পৃথিবীতে বেকার হয়ে পড়া কোটি কোটি মানুষের ভেতর দক্ষিণ এশিয়ার প্রবাসী শ্রমিকেরা ডুবে যাচ্ছেন ঋণের অতল সাগরে। এই অঞ্চলে কডিভ রোগটির প্রাদুর্ভাব না কমায় উপসাগরীয় দেশগুলোতে তারা ফিরতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে ৩০ হাজারের মতো বাংলাদেশি কাজ হারানোর শঙ্কায় দিন পার করছেন। ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় সেই মে মাসে। এখনো স্বাভাবিক হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। আমিরাতের মতো বাহরাইন, সৌদি আরবও এই দেশগুলোর সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে। দক্ষিণ এশিয়া টু উপসাগর অঞ্চলকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাইগ্রেশন করিডোর। এখন যোগাযোগ বন্ধ থাকায় গোটা পৃথিবীর অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে।
সিঙ্গাপুর ভিত্তিক দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের একটি পরিসংখ্যান বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী শ্রমিক উপসাগরীয় দেশগুলোতে কাজ করেন। রিক্রুটিং এজেন্সি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, উপাসগরীয় দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি অপেক্ষা করছেন। যে সব বাংলাদেশি নাগরিকের ওয়ার্ক ভিসা আছে তারা সৌদি আরবে ফেরার অনুমতি পেলেও ভ্যাকসিন একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা টিকা নিতে পারেননি তাদের নিজ খরচে সাত দিনের কোয়ারেন্টাইনের শর্ত দিয়েছে দেশটি। নিম্ন আয়ের কর্মজীবীদের জন্য এটি ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের’ মতো অবস্থা।