রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

এক গাছে ১২১ জাতের আম!

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১

একবার ভাবুন তো যে একই গাছের একটি ডালে ল্যাংড়া ঝুলছে, সেই গাছেরই আবার অন্য ডালে ঝুলে আছে আম্রপালি। আবার আম্রপালি থেকে চোখ সরতেই হয়তো দেখতে পাবেন পাতার ফাঁকে উঁকি মারছে ফজলি! এই বিরল দৃশ্য দেখতে হলে যেতে হবে প্রতিবেশী ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের সাহারানপুরে। জানা গেছে, সাহারানপুর জেলার কম্পানিবাগ অঞ্চলে রয়েছে হর্টিকালচার অ্যান্ড স্ট্যাডিং হার্ট। সেখানে গাছপালা নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা চলে। এই গবেষণাকেন্দ্রেই সম্প্রতি একটি গাছে ১২১ জাতের আম ফলেছে।
কী কী আম ফলেছে ওই গাছে? দশেরি, ল্যাংড়া, চৌসা, রামকেলা, আম্রপালি, সাহারানপুর সৌরভ, সাহারানপুর গৌরব, সাহারানপুর অরুণ, সাহারানপুর বরুণ, সাহারানপুর রাজীবের মতো আম তো আছেই। এ ছাড়া লখনউ সফেদা, টমি অ্যাট কিংস, পুসা সৌর, সেনসেশন, রাতাউল, কলমি মালদা ম্যাঙ্গো, বোম্বে, স্মিথ, ম্যাগনিফেরা জালোনি, গোলা বুলন্দশহর, লারাঙ্কু, এলআর স্পেশাল, আলামপুর বেনিশা, আসোজিয়া দেওব্যান্ডের মতো আমও আছে ওই গাছে। এই বিশেষ আমগাছের পরিচর্যার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক রাখা হয়েছে। কিভাবে সম্ভব হলো এই ফলন? এটা সম্ভব হয়েছে গ্রাফটিংয়ের দ্বারা। বিভিন্ন প্রজাতির আমগাছের ডাল ওই গাছটির ডালের সঙ্গে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সেগুলো থেকেই আলাদা প্রজাতির আম ফলেছে।
উদ্ভিদের ক্ষেত্রে গ্রাফটিং খুবই সাধারণ প্রক্রিয়া। সামান্য কিছু শিক্ষা থাকলেই নিজের বাড়িতে যেকোনো দুটি আলাদা গাছের ডালের মধ্যে গ্রাফটিং করা যায়। কিন্তু একটি গাছে এতগুলো আলাদা প্রজাতির গাছের ডাল জোড়া লাগানো মোটেও সহজ ছিল না। সাফল্যও মেলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। গবেষণার ফল পেতে ১৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে গবেষকদের। গবেষণা এখনো চলছে। আরো উন্নত জাতের আম কিভাবে পাওয়া যায়, সেই চেষ্টা করছেন গবেষকরা। সূত্র : আনন্দবাজার।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com