জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙ্গনের কবলে পরেছে যমুনা পারের বসতি। এই ভাঙ্গন উপজেলার চিকাজানী ইউপি বাসীর জীবনে বয়ে আনছে শুধু দুঃখ আর কষ্ট। এই শুস্ক মৌসুমেও যমুনা নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদী ভাঙনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলী জমি, বসত বাড়িসহ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে হতাশায় পড়েছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। নিঃস্ব হয়ে পরছে তারা।গেল বারের (২০২০ ইং) বন্যার ভাঙনে যেটুকু সম্বল ছিল, সেটিও ভাঙনের কবলে পড়ায় চরম হতাশায় দিন পার করছেন যমুনা পাড়ের মানুষেরা। প্রতি বছর এই সময় যমুনা গ্রাস করছে সাধারন মানুষের স্বপ্ন ও বেচে থাকার সম্বল।জানা যায়, যমুনার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই চিকাজানি ইউনিয়নের খোলাবাড়ী, বড়খাল, গুচ্ছগ্রামে ভাঙনের মুখে পড়েছে তিনতলা বিশিষ্ট নবনির্মিত বাহাদুরাবাদ নৌ-থানা। ৫ কোটি ৮০ লাখ ব্যয়ে নির্মিত বাহাদুরাবাদ নৌ-থানার তিনতলা ভবনটি ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। উদ্বোধনের সময় নৌ-থানা থেকে যমুনা নদী ছিল আধা কিলোমিটার দূরে। বর্তমান নৌ-থানাটি যমুনা নদী থেকে ২০ থেকে ৩০ গজ দূরে রয়েছে। যেভাবে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে নৌ-থানাটি যমুনা নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।