মুজিব বর্ষের উপহার হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আধাপাকা ঘর গুলো গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তরের আগেই খুলে পড়তে শুরু করেছে ঘরের দরজা ও জানালা। শুধু কি তাই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি দরজা ও জানলার পাল্লা গুলিতে ছিদ্র রয়েছে। বিতরণে ও অনিয়মের রয়েছে অভিযোগ। জানা গেছে, উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই মৌজায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ফেজ-১ এর ৩৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে ২৮টি ঘর কাগজ কলমে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে ৭/৮ টি পরিবার বসবাস করছে। অন্যরা ঘর বুঝে পাওয়ার পরপরই ঘরে তালা দিয়ে চলে গেছে। প্রশাসনের লোক আসবে এমন সংবাদ পেলেই তারা আবার ঘরে উঠবে এমন তথ্যও রয়েছে। তবে ঘরে বিতরণ কতটা স্বচ্ছ হয়েছে তা বলা মুশকিল। একইস্থানে ফেজ -২ এর আরো ৪৩টি ঘর নির্মাণধীন। নির্মাণাধীন ওইসব ঘরের নির্মাণ সামগ্রীর মধ্যে কাঠ লোহার দরজা জানালা সিট খুই নিম্নমানের লাগানো হচ্ছে। এসব ঘর নির্মাণে উপজেলা সহকরী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রকৌশলী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কমিটিতে থাকলেও ওই সময়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল হক একাই এ কাজগুলো করেছেন। আর বাকিরা শুধু প্রয়োজনীয় স্থানে স্বাক্ষর করেছেন। এর আগে উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৮টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। এ ব্যাপারে এ প্রকল্পের সদস্য উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক জানান, ঘর নির্মাণ কমিটির তিনি সদস্য থাকলেও ইউএনও সাহেব তাকে কিছু জানাননি। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজহার আলী বলেন, ঘরে নির্মানের বিষয়ে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম না। তবে ১ম ধাপের ঘর বিতরণ কিভাবে হয়েছে আমি জানিনা। ২য় ধাপের ঘরের জন্য তালিকা দিয়েছি। এখনো কেউ পায়নি। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন বলেন, এ ঘর নির্মাণ ও বিতরণ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে ইউ এন ও কোন সময় আলোচনা করেননি।