ভূরুঙ্গামারীর সীমান্তবর্তী এলাকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা একটি ষাঁড় এলাকার অন্য সব ষাঁড়ের চেয়ে আকারে বেশ বড় হওয়ায় অনেকে ষাঁড়টিকে ‘সীমান্তরাজা’ বলছেন। কোরবানি উপলক্ষে বিক্রির জন্য ছাব্বিশ মাস যাবত ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন সর্দার রমজান আলী। ষাঁড়টির ওজন প্রায় ২৫ মণ। সীমান্ত এলাকায় বিশাল আকৃতির ষাঁড়টি জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন স্থানীয়রা। মালিক ষাঁড়টির দাম চাচ্ছেন ৪ লাখ টাকা। ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের চাঁদনী বাজার এলাকার সর্দার রমজান আলী ইট ভাটায় কাজ করার পাশাপাশি আট বছর আগে নিজ বাড়িতে গরুর খামার গড়ে তোলেন। পাঁচ বছর আগে খামারের জন্য তিনি ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভী কেনেন। সেই গাভী থেকেই জন্ম হয় ‘সীমান্ত রাজা’র। রমজান আলী জানান, প্রায় ছাব্বিশ মাস যাবত সন্তান স্নেহে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করছেন। ষাঁড়টির বর্তমান ওজন হয়েছে প্রায় ২৫ মণ। উচ্চতা ৫ ফুটের মতো। দৈর্ঘ্য ৭ ফুটের বেশি। তিনি আরো জানান ষাঁড়টিকে গমের ভুসি, খুদের ভাত, শুকনা খড় খাওয়ানো হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি এবছর উপজেল সবচেয়ে বড় গরু। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ষাঁড়টিকে দেখতে রমজান আলীর বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শামীমা আক্তার জানান, ঈদ উল আযহা উপলক্ষে উপজেলার খামারিরা যেসব গরু মোটাতাজাকরণ করেছেন সেগুলোর নিয়মিত খোঁজ রাখা হচ্ছে। তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। করোনা মহামারীর কারনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনলাইন কোরবানির হাট ভূরুঙ্গামারী নামের একটি পেজ চালু করে সেখানে কোরবানির পশুর ছবি, ওজন, রঙ্গ ও মূল্য সহজ বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে অনলাইনে গরু কেনাবেচার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।