দুঃশ্চরিত্র স্বামীর পরকিয়া প্রেমের বলি অঞ্জলি রায় বিচারের আমায় প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছেন। দিনাজপুর কোতয়ালী থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী মেধ্যাপাড়া নিবাসী পুলিন চন্দ্র রায় এর কন্যা অঞ্জলি রায়ের সাথে বিবাহ হয় রামনগর বাঙ্গীবেচা ঘাট এলাকার যতিন রায়ের পুত্র প্রতীপ কুমার রায়ের সাথে। প্রতিনিয়ত দুই সন্তানের জননী অঞ্জলি রায়কে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলো স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন। লম্পট স্বামী প্রদীপ কুমার রায় অন্য নারীর সাথে পরকিয়া প্রেমে পড়ে গত ৭ জুলাই স্বামী প্রদীপ কুমার রায়, শ্বশুর যতিন রায়, দুই জামাই কানু চন্দ্র বর্মন ও দুলাল চন্দ্র রায় অঞ্জলি রায়কে বেদম প্রহার করে। তার হাতে, পিঠে ও পায়ে লাঠি দিয়ে মেরে প্রায় পঙ্গু করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। সংবাদ পেয়ে অঞ্জলি রায়ের বাড়ীর পূর্ণ চন্দ্র রায়, আনন্দ রায়, মোঃ সোহেল, মোঃ কালু ও বিপ্লব চন্দ্র রায় গেলে প্রদীপ চন্দ্র রায়ের বাড়ীর লোকজন তাদেরকে মারধর ও গরম জল গায়ে ফেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করলে তারা প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে আসে এবং ওই দিনই অঞ্জলি রায়কে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে পিতার বাড়িতে নিয়ে আসে। অঞ্জলির ভাই বিশ্বজিৎ চন্দ্র রায় নিজে বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় উপরোক্ত ব্যক্তিদের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ৪ দিন অতিবাহিত হলেও কোতয়ালী পুলিশ কি এক অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি তদন্ত না করে কাল ক্ষেপন করছে। এর পরে অঞ্জলি রায় বিচারের আশায় এবং স্বামীর ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুড়ছে। অঞ্জলি রায় এর নির্যাতনের বিচার ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।