চলমান করোনা পরিস্থিতিতে মার্কেট-দোকান খোলায় করোনা সংক্রমণ কিছুটা বাড়বে পারে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়ে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শ কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা কম। সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবে যেহেতু মার্কেট খোলা হয়েছে, গার্মেন্টস খোলা হয়েছে, দোকান পাটে আনাগোনা বাড়ছে কাজেই সংক্রমণ যে একটু বৃদ্ধি পাবে এটা আমরা ধরেই নিতে পারি। আমাদের যতটুকু সম্ভব এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করবে যাতে রোগী না বাড়ে।
তিনি বলেন, লকডাউন যেহেতু তুলে দেওয়া হয়েছে, দোকান পাটও হয়তো খুলে যাবে। এ বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটি যে পরামর্শ দেবে সেই পরামর্শগুলো তাদের কাছ থেকে গ্রহণ করে আমরা যথাযথ জায়গায় সেটি পৌঁছে দেবো। তারপর সরকারের যে নির্দেশনা থাকবে সে অনুযায়ী আমরা কাজ করব।
মন্ত্রী বলেন, কোনো রোগী যাতে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া না হয় সে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে। গত ২ মাস আগেও এমন নির্দেশনা আমরা দিয়েছি। নতুন করে আমরা আবারও গুরুত্ব দিয়ে এটি দেখব।
তিনি জানান, তারা একটি ফোকাল পয়েন্ট বা সেল গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন, যেই সেলে তারা পরামর্শ দেবেন। এবং সেল সে বিষয়ে যেখানে যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন নেবে। সেলে মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা থাকবেন। এছাড়াও অনেক ডাক্তার আক্রান্ত হচ্ছে সেটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য বলা হয়েছে। বিশেষ করে পিপিই পড়া এবং খোলার সময় সংক্রমণ হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে, সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ঈদের ছুটিতে মানুষের যাওয়া আসার বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটি তাদের একটি মতামত দেবেন। সে বিষয়টি তারা আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন। আর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের যে ক্যাপাসিটি ছিল সেটি আমরা বাড়িয়েছিলাম, তারা আরও বাড়াতে বলেছেন। কারণ সেখানে এখন অনেক মানুষ টেস্ট করতে যাচ্ছে। তাই এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তারা বিভিন্ন মেডিকেলে কর্মচারীর সংখ্যা বাড়াতে বলেছেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয় নির্দেশনা দিয়েছেন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে আমাদের মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিচ্ছে, অলরেডি এটি প্রসেসে আছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে এ কাজটি আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।
বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম, টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি জ্যেষ্ঠ শিশু বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সদস্যসচিব রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনাসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআর/প্রিন্স