মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতনের ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিজ দেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে গৃহীত হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে এটিই প্রথম কোনো প্রস্তাব, যা সোমবার (১২ জুলাই) বিনা ভোটে জাতিসংঘে পাস হলো। জেনেভায় জাতিসংঘ বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
স্থায়ী মিশন জানায়, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে চলমান অধিবেশনে বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সব সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রস্তাবটি পেশ করা হয়। যা নিয়ে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতভেদ থাকার পরও শেষ পর্যন্ত নিবিড় ও সুদীর্ঘ আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
এটি বাংলাদেশের কূটনৈতিক বিজয় উল্লেখ করে স্থায়ী মিশন জানায়, এবারের প্রস্তাবটি বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। জাতিসংঘে গৃহীত প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের ওপর যৌন অপরাধসহ সব ধরনের নির্যাতন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থার আওতায় আনা এবং তদন্ত প্রক্রিয়া জোরদার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। প্রস্তাবটির ওপর আলোচনায় অংশ নেন জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘মানবিক বিবেচনায় নির্মম নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমানা উন্মুক্ত করে দেন প্রধানমন্ত্রী। তবে গত চার বছরেও মিয়ানমারের অসহযোগিতার কারণে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়নি।’ এ সময় তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এসব রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।