মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় কারাগারকে সংশোধনাগারে রুপান্তর করতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কারাগারের অবকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বন্দিদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ সরকারের আমলে ২শত বছরের ইতিহাসে সকালের নাস্তা রুটি ও গুড়ের পরিবর্তে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাংলা নববর্ষসহ বিশেষ দিবসে উন্নত মানের খাবারের জন্য বন্দিদের ৩০ টাকার পরিবর্তে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্যারেড গ্রাউন্ডে নবীন কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষীদের ৫৮তম বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বন্দি পুর্নবাসনের অংশ হিসেবে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের জীবিকায়ন সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। কারাবন্দি সন্তানদের বঙ্গবন্ধু বৃত্তি প্রদান করা হয়ে যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণদের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে “রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র” নির্মাণ কাজ চলছে। একই সাথে ঢাকার কেরানীগঞ্জেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব করা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এসময় ৫৮তম নবীন কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষীদের সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, কারা অধিদপ্তরের কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন, কারা প্রশিক্ষণের সিনিয়ির জেল সুপার ও আব্দুল জলিল, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। কুচকাওয়াজ শেষে গত প্রহেলা ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু করে ৩শত ১৪ জন প্রশিক্ষণার্থী ২৬ সপ্তাহ প্রশিক্ষণের পর আজ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে কুচকাওয়াজ প্রদর্শণ করেন। এবং ৫৮তম ব্যাচে কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় ৩জনকে সম্মাননা ক্রেস প্রদান করেন সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব।