লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় ৪টি ইউনিয়নের ৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানি আটকে থাকার কারণে বেড়িবাঁধের বাহিরের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় ৪টি ইউনিয়নের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকদিনের টানা প্রবল বর্ষনে প্রায় ৩০লাখ টাকার মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। জানা যায়, প্লাবিত গ্রামগুলো হলো, চর আবাবিল, হাজীমারা, কুচিয়ামোড়া, চর কাচিয়া, জালিয়ার চর, চর ঘাশিয়া, চরলক্ষ্মী, টুনুর চরসহ ৮টি গ্রাম। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন গৃহপালিত পশু ও বৃদ্ধ এবং শিশুরা। অস্বাভাবিক জোয়ারে কারণে নিন্মাঞ্চল এলাকার সংযুক্ত খাল, বসতঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট হাঁটু পরিমান, কোথাও কোমর পরিমান পানিতে ডুবে আছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার পুকুর, মাছের ঘেরের অন্তত ৩০লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। এসব এলাকার বেশীরভাগ অঞ্চল জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এদিকে ঐ অঞ্চলের অন্তত ৩ হাজার পানের বরজ কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়ায় ঐ অঞ্চলের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তবে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেননি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। চরবংশী এলাকার কৃষক মোঃ জামাল হোসেন বলেন, জোয়ারের পানিতে আমার বাড়ি তলিয়ে গেছে। ১একর ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুকুরের মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। চরম দুর্ভোগে রয়েছি আমি ও আমার পরিবারের লোকজন। একই সুরে কথা বলেন ঐ এলাকার বৃদ্ধ মোঃ বিল্লাল হোসেন বকাউলসহ অনেকেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী জানান, জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে বেশ কিছু কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি ও সড়কের গাছসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণের কাজ চলছে।