পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বর্তমানে বাংলাদেশ অবস্থান করছে টিম অস্ট্রেলিয়া। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় পা রেখেছে স্টার্করা। এসেই তিন দিনের কোয়ারেন্টাইনে অজি শিবির। বাংলাদেশ দলও তাই। জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরে পুরো দল কোয়ারেন্টাইনে। আগামী পরশু থেকে দু’দল শুরু করবে অনুশীলন।
আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টির লড়াই। সাত দিনের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত হবে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্রুততম কোনো সিরিজই হবে এটি, তা বলাই বাহুল্য। অথচ অস্ট্রেলিয়ার সাথে এর আগে বাংলাদেশ খেলেছে মাত্র চারটি টি-টোয়েন্টি, সময়ের ব্যবধান ৯ বছর। প্রতি টি-টোয়েন্টির মাঝে গড় ব্যবধান প্রায় তিন বছর করে। অস্ট্রেলিয়ার সাথে চারটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ এর আগে। চারটি ম্যাচই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। চারটিতেই হেরেছে টাইগাররা। এক নজরে দেখে নেয়া যাক সেই ম্যাচগুলো।
প্রথম ম্যাচ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭
অস্ট্রেলিয়ার সাথে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে। যেখানে বাংলাদেশ হেরেছিল ৯ উইকেটে। ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন অজি পেসার ব্রেট লি।
বাংলাদেশ আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে করেছিল ১২৩ রান। সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। আফতাব আহমেদ করেছিলেন ৩১। অধিনায়ক আশরাফুল ছুতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। ১১ বলে ১৬ রান করেছিলেন সাকিব। লোয়ার অর্ডারের তিনজন রানের খাতাই খুলতে পারেননি, বাকি দু’জন আউট হন দুই অঙ্কের রান করার আগেই।
জবাবে গিলক্রিস্ট ও হেইডেন ঝড়ে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ৪৮ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন হেইডেন। তার ইনিংসে ছিল নয়টি চার ও তিনটি ছক্কা। গিলক্রিস্ট করেন ৪৩ রান। অধিনায়ক পন্টিং করেন ৬ রান। বল হাতে বাংলাদেশের কেউ পাননি উইকেটের দেখা। গিলক্রিস্টের আউট ছিল রান আউট।
দ্বিতীয় ম্যাচ : ৫ মে ২০১০
বার্মিংহামে তিন বছর পর আবার দেখা অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের। এই ম্যাচে বল হাতে বাংলাদেশ বেশ ভালো করেছিল। অস্ট্রেলিয়াকে আটকে রেখেছিল ১৪১ রানে।
উইকেট পড়েছিল সাতটি। টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার ছিল ব্যর্থ। লোয়ার অর্ডারে মাইক হাসি (৪৭) ও স্টিভেন স্মিথের (২৭) ব্যাটে সম্মাজনক স্কোর গড়ে দলটি। মাশরাফি ও সাকিব নেন দুটি করে উইকেট।
এই সুযোগ নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৮.৪ ওভারে অল আউট ১১৪ রানে। দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ আশরাফুল আউট হন শূন্য রানে। আফতাবও ব্যর্থ। সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে সাকিবের ব্যাটে। মুশফিক করেন ২৪ রান। ম্যাচ সেরা মাইক হাসি।
তৃতীয় ম্যাচ : ১ এপ্রিল ২০১৪
এবার ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি বাংলাদেশ। মিরপুরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৫৩ রান করে টাইগাররা। তামিম-আফতাব দ্রুত ফিরলেও ৬৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তামিম। মুশফিক করেন ৪৭ রান।
তবে অস্ট্রেলিয়া এই ম্যাচ জেতে সাত উইকেটে। অ্যারন ফিঞ্চ করেন ৪৫ বলে ৭১ রান। ডেভিড ওয়ার্নার করেন ৪৮ রান। আল আমিন নেন দুটি উইকেট। ম্যাচ সেরা ফিঞ্চ।
চতুর্থ ম্যাচ : ২১ মার্চ ২০১৬
শেষ ম্যাচটি হয়েছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ভারতের বেঙ্গালুরুতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান করে বাংলাদেশ। দলের প্রায় সবাই রান পান এই ম্যাচে। সর্বোচ্চ ৪৯ রান আসে মাহমুদ উল্লাহর ব্যাটে। সাকিব ৩৩, মিঠুন ২৩, মুশফিক ১৫ রান করেন। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও মাঝ মাঠে খেই হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। শেষ অবধি অজিরা ম্যাচ জেতে ৩ উইকেটে।
সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন ওপেনার উসমান খাজা। ম্যাক্সওয়েল করেন ২৬ রান। বল হাতে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান নেন তিন উইকেট। মোস্তাফিজুর পান দু’টি উইকেট।