রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

ডিমলায় মান-সম্মত গৃহ পেয়ে খুশি সুবিধা ভোগীরা

মাজহারুল ইসলাম রেজা ডিমলা (নীলফামারী) :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১

মুজিববর্ষ উপলক্ষে নীলফামারীর ডিমলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ১ম ও ২য় পর্যায়ে জমি ও গৃহ পেয়েছে মোট ৩৮৫ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। চলতি বছরের ২৩জানুয়ারী ও ২০জুন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ১ম ও ২য় পর্যায়ে ৩৮৫ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহ প্রদানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরমধ্যে উপজেলার সদর ইউনিয়নে ৪০টি, বালাপাড়া ইউনিয়নে ১১৪টি, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নে ৬০টি, খালিশা চাপানী ইউনিয়নে ৩০টি, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে ১১৬ টি, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে ১০টি ও পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নে ১৫টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করেন ডিমলা উপজেলা প্রশাসন। প্রতিটি ঘরের সরকার নির্ধারিত বরাদ্দ ছিলো ১লাখ ৭১ হাজার টাকা। ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম জানান, সরকার নির্ধারিত ডিজাইনের বাহিরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়ের নির্দেশে ঘরগুলো অধিক মান সম্মত করতে অতিরিক্ত ১৫ইঞ্চি সলিং, ১৫ ইঞ্চি সিসি বেইচ, পুরো ঘরে টানা নিল্টন এবং বারান্দার প্রতিটি পিলারে রড ব্যবহার করা হয়েছে। এবং ১৫ সিএফটি কাঠের জায়গায় প্রায় ১৯ সিএফটি কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্মিত ঘরগুলির গুনগতমান পরিদর্শন করে নির্মিত গৃহসমূহের সকল কাজের গুনগতমান সঠিক আছে মর্মে প্রত্যায়ন দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মির্জা মুরাদ হাসান বেগ। খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের সুবিধাভোগী ইসোফ আলীর স্ত্রী জয়গুন বেগম, আঃ মান্নানের স্ত্রী মাহামুদা, ডিমলা সদর ইউনিয়নের গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী বাচ্চাফুল, সকিমুদ্দিনের ছেলে মকবুল হোসেন, বালাপাড়া ইউনিয়নের একার উদ্দিনের ছেলে আঃ মান্নান ও মজিদুল ইসলামের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম বলেন, এতদিন হামার বাড়ী ভিটা কিছুই ছিলোনা মানুষের জাগাত ছিনো। শ্যাখের বেটি হাসিনা হামাক ভিটা মাটির ব্যবস্থা করি দিছে। হামরা পাকা ঘরত ভাল আছি, ঘর গিলাও ভাল হইছে, ঘরের কোন সমস্যা নাই। হামরা এলা সুখে দিন কাটাছি। সারাদিন কাজকর্ম করি রাইতোত মনের আলন্দে পাকা ঘরত ঘুমাইছি, হামরা এলা খুব ভাল আছি। ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম বলেন, মান সম্মতভাবে ঘরগুলি নির্মান করা হয়েছে। তারপরেও ছোটখাটো কোন ত্রুটি থাকলে তা আমরা মিস্ত্রি দিয়ে সেরে দিচ্ছি। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, ঘরগুলি নির্মানের সময় প্রতিটি বিষয়ে সঠিকভাবে তদারকি করা হয়েছে। এবং ঘরগুলি জেন মান সম্মত হয় সেজন্য অতিরিক্ত কিছু কাজ করা হয়েছে। এর পরেও ছোট খাটো কোন ত্রুটির খবর পেলে সাথে সাথেই তা মিস্ত্রি দিয়ে সেড়ে দেয়া হচ্ছে। এবং মান সম্মত কাজের ফলে ঘরগুলির কোন সমস্যা হবেনা বলে তিনি জানান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com