শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে গণপরিবহন চালু হওয়ায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে ২৩ কিলোমিটার এলাকায় উত্তরবঙ্গ মুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার রাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপার হতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভ্যাপসা গরমে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে গন্তেব্যে ফেরা মানুষ। এক কিলোমিটার এলাকার পার হতে প্রায় ঘন্টা সময় লাগছে। সকাল থেকে সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়কের ঘারিন্দা, কান্দিলা, রাবনা, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পুংলি ও এলেঙ্গাতে উত্তরবঙ্গ মুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঢাকামুখী লেনে যানবাহনের চাপ থাকায় ধীর গতিতে চলাচল করছে। গণপরিবহন চালু হলেও খোলা ট্রাক, পিকআপ ও মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে গন্তব্যে ফিরছে মানুষ। কাউকে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। যে যার মতো গন্তব্যে ফিরছে। রসুলপুর গ্যাসপাম্পে কথা হয় আব্দুল হালিমের সাথে। তিনি বলেন, আমি গাজীপুর থেকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর যাচ্ছি। মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে ঘারিন্দা থেকে যানজট রয়েছে। এক কিলোমিটার আসতে প্রায় এক ঘন্টার বেশি সময় লাগছে। পিকআপ চালক শহিদুল ইসলাম বলেন, গাজীপুর যাচ্ছি বাসা বাড়ির মালামাল আনার জন্য। কিন্তু রাস্তায় ধীর গতি রয়েছে। এই সুযোগে যাত্রীরা যার যার মতো আমার পিকআপে উঠেছে। আমি তাদের মাস্ক পড়তে অনুরোধ করছি। কিন্তু কে শুনে কার কথা। গার্মেন্টসকর্মী হাবিব সিকদার বলেন, পাবনা থেকে ভোর রাতে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। ৬ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও টাঙ্গাইল পার হতে পারি নাই। স্বাভাবিক সময়ে পাবনা থেকে গাজীপুর যেতে সর্বোচ্চ চার ঘন্টা সময় লাগে। কিন্তু আজকে যে অবস্থা তাতে আট ঘন্টার বেশি সময় লাগবে। সরকার হঠাৎ ঘোষণা দেয়ায় কষ্ট করে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে। যানজটের বিষয়টি অস্বীকার করে মহাসড়?কের এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, শ্রমিকদের কর্মস্থ?লে ফির?তে গণপ?রিবহন চালু হওয়ার পর ভোর রাত থেকে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ রয়েছে। কোথাও কোন গাড়ি থেমে নেই। বেলা বাড়ার সাথে সাথে স্বাভাবিক হবে।