বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন, করোনার এ দুঃসময় মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, ক্ষুধার্ত না থাকে এজন্য জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যেক নেতাকর্মীকে এগিয়ে আসতে হবে। যার যতটুকু সম্ভব সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে করোনাকালীন কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
গত ৭ আগস্ট শনিবার সকালে জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখা আয়োজিত জেলা রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আব্দুস ছাত্তার প্রমুখ।
ডা: শফিকুর রহমান বলেন, এই করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে হবে। উত্তম চরিত্র গঠন করতে হবে। আল্লাহ বলেছেন, আমার পক্ষ থেকে যে বিধান দেয়া হয়েছে তা যারা মানবে তাদের পৃথিবীতে যে কোন পরিস্থিতির সময়ে ভয়েরও কোন কারণ নেই, দুশ্চিন্তারও কোন কারণ নেই। এ জন্য কুরআনকে পরিপূর্ণভাবে মানতে হবে, ইসলামের বিধানকে পরিপূর্ণভাবে মানতে পারলে মানুষের কেবল প্রকৃত সফলতা আসবে। ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলনে জেলার ৬শ’র বেশি রুকন সংযুুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
দল-মত নির্বিশেষে সবার সেবার মানসিকতা থাকতে হবে: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আমরা মুসলমান, আমাদের জীবনের আসল মালিক আমরা নই, এই জীবনের মালিক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। দুনিয়ায় তার ইচ্ছা ও নিয়ম ব্যতীত আমাদের কোন কিছুই করার নেই। বর্তমান বিশ্ব করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের দল-মত নির্বিশেষে সকলকেই চিকিৎসা ও সেবা দেয়ার সর্বোচ্চ মানসিকতা থাকতে হবে। নিজের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার চেষ্টা করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ষান্মাসিক সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গাইবান্ধা জেলা আমীর মোঃ আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকারের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য ডা. আব্দুর রহীম সরকারসহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদেরকে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ দাওয়াত আপামর জনসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। নিজেদের মান উন্নয়ন ও জনশক্তির মান সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। মানবতার সেবার মাধ্যমে দেশ পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
মাওলানা আবদুল হালিম তার বক্তব্যে সালাত, আমানত ও মানবসেবার বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি জামায়াতের সদস্য (রুকন)দের আমানতদারিতার সাথে দায়িত্ব পালনের তাগিদ প্রদান করেন।
অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, সদস্য (রুকন)কে তার দায়িত্বানুভূতি নিয়ে কাজ করতে হবে। সংগঠন পরিচালনায় সদস্যদের(রুকন) বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।
ডা. আব্দুর রহীম সরকার বলেন, আমাদের কাজের ঘাটতিগুলোকে পূরণ করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে কাজে আঞ্জাম দিলে আমাদের ঘাটতিগুলো পূরণ হবে, ইনশাআল্লাহ।
অতিথিবৃন্দ বর্তমান করোনা মহামারি থেকে হেফাজতের জন্য মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।