মৌলভীবাজারে জাতির পিতার পদচিহ্ন অঙ্কিত স্থানসমূহ নিয়ে নির্মিত বিশেষ ডকুমেন্টারি ‘খুঁজে ফিরি পিতার পদচিহ্ন’’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ ১১ আগস্ট বুধবার। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত এ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন (ভার্চুয়াল) বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, পৌর মেয়র মো. উজলুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি আজমল হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার শোয়েব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইনিউজ ডটনিউজ এর সম্পাদক এবং বিটিভির জেলা প্রতিনিধি হাসানাত কামাল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে প্রান্তিক মানুষের নেতা, তার প্রমাণ চা-শ্রমিক ও হাওরাঞ্চলের জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নেতা। পিছিয়ে পড়া চা-শ্রমিক ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর টানে হাওর, পাহাড়-চা বাগান ও সমতল ঘেরা ২৮শ বর্গ কিলোমিটারের অপূর্ব সৌন্দর্যমন্ডিত মৌলভীবাজার জেলায় বঙ্গবন্ধু এসেছেন বারবার। তিনি ১৯৫৬, ১৯৬৪, ১৯৬৮, ১৯৬৯, ১৯৭০, ১৯৭৩ সালে এখানকার মানুষের উন্নয়নে-উত্তরণে বারবার ছুটে এসেছেন। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ মাহেন্দ্রক্ষণে হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও বিনম্র শ্রদ্ধায় তাঁকে স্মরণ করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ‘খুঁজে ফিরি পিতার পদচিহ্ন’ শিরোনামের এ ডকুমেন্টারি নির্মাণ করেছে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডকুমেন্টারিটি নির্মাণ করে দিয়েছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল আইনিউজ ডটনিউজ। ডকুমেন্টারি নির্মাণকালে মৌলভীবাজার জেলার ৭টি উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে সেখান থেকে তথ্য ও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, শহীদ মিনার, আনসার ফিল্ড (বর্তমান ডিসি অফিস), শাহ মোস্তফা সড়কের ওয়াপদা রেস্ট হাউস, মৌলভীবাজার ক্লাব, দেওয়ানি জামে মসজিদ, জনমিলন কেন্দ্র, শ্রীমঙ্গলের ফুলছড়া চা-বাগানের ডাকবাংলো, নন্দরানী চা-বাগান, ডা. আলী সাহেবের বাসা, টি-রিসোর্ট, শহীদ মিনার, তৎকালীন সোনালি ব্যাংক প্রাঙ্গণ, বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, রাজনগরের টেংরাবাজার ও কমলগঞ্জের শমসেরনগর থেকে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচিহ্ন ধারণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে দেখেছেন, বঙ্গবন্ধুর সাথে স্মৃতি আছে এমন ব্যক্তিগণের সাক্ষাতকারও নেয়া হয়েছে। এছাড়াও চা-বাগান, হাওর, পাহাড়, সমতলসহ উল্লেখযোগ্য পর্যটন এলাকার ফুটেজ সংযোজন করা হয়েছে।