একটি প্রশ্ন আজকাল অনেকেই করে থাকেন। প্রশ্নটি হলো, ইসলামের দাঈদেরকে পলিটিক্যাল ইসলাম না নন পরিটিক্যাল ইসলামের দাওয়াত দিতে হবে? পলিটিক্যাল ইসলাম বা রাজনৈতিক ইসলাম হচ্ছে নতুন সৃষ্ট একটি শব্দ। মার্টিন ক্রেমার হচ্ছেন এর উদ্ভাবক। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ১৯৮০ সালে ‘পলিটিক্যাল ইসলাম’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এ শব্দ দ্বারা তিনি রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়কে ‘ইসলামী’ আইন ও ইসলামী অনুশাসন অনুসারে রূপান্তর ও পরিচালিত করার জন্য ব্যক্তি ও সংগঠনের বিস্তৃত পরিসরের সক্রিয় প্রয়াসকে বুঝিয়েছিলেন।’ এই শব্দটি বিংশ শতকে আবির্ভূত ইসলামী আন্দোলনগুলো বোঝার জন্য ব্যবহার করা হয়। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ ইসলামীকরণ ও পলিটিক্যাল ইসলামের মধ্যে সাদৃশ্য থাকার কারণে ‘ইসলামিজম (Islamismস) শব্দটিও ব্যবহার করে থাকেন। মার্টিন ক্রেমার আবার ২০০৩ সালে বলেন, ‘পলিটিক্যাল ইসলাম’ শব্দটি অসঙ্গত বলে মনে হয়। কেননা মুসলিম বিশ্বের কোথাও ধর্মকে রাজনীতি থেকে ভিন্ন আলাদা জিনিস হিসেবে দেখা হয় না। [দেখুন. বাংলা ইউকে পিডিয়া]
মার্টিন ক্রেমার যিনি সর্বপ্রথম ১৯৮০ সালে ইসলামী আন্দোলন বোঝাবার জন্য ‘পলিটিক্যাল ইসলাম’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন সম্ভবত তিনি তার নিজের খ্রিষ্টান ধর্ম এবং মুসলমানদের মাঝে পীর মুরিদের সুফিবাদী দরবেশী ইসলাম ও তাবলিগ জামাতের ছয় উসুলের ইসলাম দেখে তাদের ইসলামকে আসল ইসলাম মনে করে এ কথা বলেছিলেন। তাই যারা রাসূল সা:-এর দাওয়াতের পথ অনুসরণ করে ইসলামকে সামগ্রিকভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে পলিটিক্যালভাবে বাস্তবায়ন করতে চায় তাদের ইসলামের দাওয়াত বোঝাবার জন্য ‘পলিটিক্যাল ইসলাম’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। অতঃপর ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে যখন তিনি জানতে পারেন যে সুফিবাদী পীর মুরিদের দরবেশী ইসলাম ও তাবলিগিদের ইসলামের দাওয়াত পূর্ণ ইসলামের দাওয়াত নয়; বরং খণ্ডিত ইসলামের দাওয়াত তখন তিনি উপলব্ধি করেন যে ইসলামকে এভাবে দুই ভাগে ভাগ করে ‘পলিটিক্যাল ইসলাম’ ও ‘নন-পলিটিক্যাল ইসলাম’ নামকরণ সঠিক নয়। তাই তিনি ২০০৩ সালে এসে অনুধাবন করেন যে, আসলে ‘নন-পলিটিক্যাল ইসলাম’ নামের কোনো জিনিস ইসলামে নেই। ইসলাম পলিটিক্যাল দৃষ্টিভঙ্গি ও বিধিবিধান সম্বলিত একটি দ্বীন। কারণ ইসলামের নবী মুহাম্মদ সা: নবী ও রাসূল হওয়ার সাথে সাথে একজন পরিপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও বটে। তাই তিনি পলিটিক্যালভাবেই ইসলামের দাওয়াত দিতেন। কারণ আল্লাহ তাকে যে দ্বীন দিয়ে রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছেন সেই দ্বীনের শরিয়তের বিশাল অংশ রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভ করা ছাড়া বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
এ কারণেই তিনি মক্কা থেকে হিজরাত করে মদিনায় আসার পর মদিনায় প্রথম একটি ইসলামী রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করেন। তিনি নিজে সেই রাষ্ট্রের পরিচালক ও রাষ্ট্রপতি হন। তিনি যেমন নবী ছিলেন তেমনি রাষ্ট্রনায়কও ছিলেন। এ কারণেই তিনি সেই রাষ্ট্রের সব অঞ্চলে গভর্নর ও বিচারকও প্রেরণ করেন। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবেই তিনি ইসলামের হুদুদ ও কোসাস আইন বাস্তবায়ন করেন। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবেই তিনি জিহাদ ও যুদ্ধ পরিচালনা করেন। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবেই তিনি জাকাত ফাই গণিমতসহ সব ধরনের ইসলামী অর্থ ব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠা করেন। কাজেই ‘নন-পলিটিক্যাল ইসলাম’ নামের কোনো জিনিসের অস্তিত্ব ইসলামে নেই। রাজনীতি ছাড়া ইসলামী শরিয়তের এক বিরাট অংশই অকার্যকর থাকে। অতএব, ইসলাম আগাগোড়াই পলিটিক্যাল। সুতরাং যারা ইসলামের দাঈ তাদের পূর্ণ ইসলামের দাওয়াত দিতে হবে। সেটিকে কেউ ‘পলিটিক্যাল ইসলাম’ নামে অভিহিত করলেও সে ইসলামেরই দাওয়াত দিতে হবে। কারণ ‘নন-পলিটিক্যাল ইসলামের’ দাওয়াত দান মানে ইসলামকে খণ্ডিত করা; ইসলামের কিছু অংশের দাওয়াত দেয়া আর কিছু অংশের দাওয়াত না দেয়া। এভাবে ইসলামের কিছু অংশ থেকে বিচ্যুত হওয়া কিছুতেই বৈধ নয়। আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের মধ্যে তার মাধ্যমে ফয়সালা করো, যা আল্লাহ নাজিল করেছেন এবং তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। আর তাদের থেকে সতর্ক থাকো যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তার কিছু থেকে তারা তোমাকে বিচ্যুত করবে। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে জেনে রাখো যে, আল্লাহ তো কেবল তাদের কিছু পাপের কারণেই আজাব দিতে চান। আর মানুষের অনেকই ফাসিক।’ (সূরা আল মায়েদা : ৪৯)
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহতায়ালা যারা আল্লাহর দ্বীনের কোনো অংশ কার্যকর করা হতে নবী সা:কে বিচ্যুত করতে চায় তাদের ব্যাপারে নবী সা:কে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং দ্বীনের কিছু অংশ বাদ দিয়ে বাকি অংশের দাওয়াত দেয়া, কিছু অংশ বাদ দিয়ে কিছু অংশ কার্যকর ও বাস্তবায়ন করা কিছুতেই বৈধ নয়।
তা ছাড়া আল্লাহতায়ালা আমাদের ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে, অর্থাৎ ইসলামকে সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করতে আদেশ করেছেন। সুতরাং ইসলামের সামান্য কিছু অংশে প্রবেশ করা ও তার দাওয়াত দেয়া কিছুতেই বৈধ হতে পারে না। কারণ আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা ইসলামে পূর্ণরূপে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য স্পষ্ট শত্রু।’ (সূরা আল বাকারা : ২০৮)
আলোচ্য আয়াতে ঈমানদারদের পূর্ণ ইসলামে প্রবেশ করার আদেশদানের পরপরই বলা হয়েছে, ‘এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না।’ অর্থাৎ পূর্ণ ইসলামে প্রবেশ না করা মানে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করা। সুতরাং পূর্ণ ইসলামে প্রবেশ করার দাওয়াত না দেয়াও শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করার মধ্যে শামিল; তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এভাবে ইসলাম মানলে তা থেকে কাক্সিক্ষত ফলাফলও লাভ করা যায় না।
আল্লাহতায়ালা আরো জানিয়েছে যে, তিনি ইসলামকে পরিপূর্ণ করেছেন। যেমন তিনি বলেছেন, আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের ওপর আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে।’ (সূরা আল মায়েদা : ৩)
আল্লাহ যে দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন, যে দ্বীনকে তিনি আমাদের জন্য তার পরিপূর্ণকৃত নেয়ামত বলে জানিয়েছেন, যে দ্বীনকে আমাদের জন্য তিনি পছন্দ করেছেন, সে দ্বীনের খ-িত দাওয়াত তিনি পছন্দ করবেন তা ভাবা যায় না।
এখানে উল্লেখ্য, ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে গেলে, ইসলামকে সামগ্রিকভাবে বাস্তবায়ন করতে গেলে, রাজনৈতিকভাবেই করতে হবে। আর এটাই হলো পলিটিক্যাল ইসলাম। কারণ ইসলামী আইনের বিরাট একটি অংশ রাষ্ট্রীয়ভাবে কার্যকর করতে হয়। ইসলামের কেসাস ও হদ আইন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছাড়া কার্যকর করা যায় না। ইসলামে জিহাদ কিছুতেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছাড়া করা যায় না। সুদবিহীন অর্থ ব্যবস্থার বাস্তবায়ন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছাড়া করা যায় না। এ কারণেই আল্লাহ তায়ালা রাসূল সা:কে বলেন, ‘আর আমি তোমার প্রতি কিতাব নাজিল করেছি যথাযথভাবে, এর পূর্বের কিতাবের সত্যায়নকারী ও এর ওপর তদারককারীরূপে। সুতরাং আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, তুমি তার মাধ্যমে ফয়সালা করো এবং তোমার নিকট যে সত্য এসেছে, তা ত্যাগ করে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি শরিয়াত ও স্পষ্ট পন্থা এবং আল্লাহ যদি চাইতেন, তবে তোমাদের এক উম্মত বানাতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের যা দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা করতে চান। সুতরাং তোমরা ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করো। আল্লাহরই দিকে তোমাদের সবার প্রত্যাবর্তনস্থল। অতঃপর তিনি তোমাদের অবহিত করবেন, যা নিয়ে তোমরা মতবিরোধ করতে।’ (সূরা আল মায়েদা : ৩৮)
আলোচ্য আয়াতের ‘সুতরাং আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, তুমি তার মাধ্যমে ফয়সালা কর এবং তোমার নিকট যে সত্য এসেছে, তা ত্যাগ করে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না।’ অংশ প্রমাণ করে যে ইসলামের কিছু অংশ বাদ দিয়ে বাকি অংশ দ্বারা ফায়সা করা বা শাসন করা মানে মানুষের প্রবৃত্তির অনুসরণ করা বৈ আর কিছু নয়; যা নিষিদ্ধ।
যেসব মুসলমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পান তাদের ওপর নামাজ কায়েম করা জাকাত ব্যবস্থা তথা ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা কার্যকর করা ও ইসলামী শরিয়ত বাস্তবায়ন করা, আল্লাহর আইন মতে রাষ্ট্র শাসন করা জিহাদের ব্যবস্থা করা ফরজ। তারা এ ফরজ আদায় না করলে তাদের সেজন্য অবশ্যই আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এসব বিষয়ে রাসূলের অনুগত্য না করার কারণে তারা জালিম, ফাসিক ও কাফের বলেও পরিগণিত হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, আর আল্লাহ যা নাজিল করেছেন, তার মাধ্যমে যারা ফয়সালা করবে না, তারাই জালিম।’ (সূরা আল মায়েদা : ৪৫)
আল্লাহতায়লা আরো বলেন, আর আল্লাহ যা নাজিল করেছেন তার মাধ্যমে যারা ফয়সালা করে না, তারাই ফাসিক।’ (সূরা আল মায়েদা : ৪৭)
আল্লাহতায়লা আরো বলেন, আর আল্লাহ যা নাজিল করেছেন তার মাধ্যমে যারা ফয়সালা করে না, তারা কাফের।’ (সূরা আল মায়েদা : ৪৪)
এ সব আয়াতে ‘লাম ইয়াহকুমু’ বলতে দু’টি জিনিস বোঝানো হয়েছে। এক. বিচার আচারে ফায়সালা করা। দুই. রাষ্ট্র শাসন করা। কারণ আরবি ‘হুকুম’ শব্দটি এতদুভয় বিষয়কে শামিল করে। মোট কথা, যারা আল্লাহর দেয়া বিধান মতে দেশ শাসন করে না বা বিচার ফায়সালা করে না তারা তাদের অবস্থা অনুযায়ী আল্লাহর কাছে জালিম, ফাসিক ও কাফের বলে পরিগণিত হবে। যদি অলসতা ও অবহেলার কারণে রাসূলের রাষ্টনায়ক হিসেবে দেয়া হুকুম পালন না করে তবে তারা জালিম, আর যদি কোনো বাধার কারণে পালন না করে তবে ফাসিক, আর যদি তা পালন করা অদৌ আবশ্যক ও ফরজ নয় বলে মনে করে তবে তারা কাফের বলে সাব্যস্ত হবে। তাছাড়া আল কুরআনে অসংখ্য বিষয় আছে রাষ্ট্র শাসন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা কেন্দ্রিক। যেমন আল্লাহতায়ালা রাসূল সা:কে বলেন, ‘আর রাষ্ট্র পরিচলন কাজ-কর্মে তাদের সাথে পরার্মশ করো।’ (সূরা আল মায়েদা : ১৫৯)
আল্লাহতায়ালা রাসূল সা:কে আরো বলেন, ‘আর পুরুষ চোর ও নারী চোর তাদের উভয়ের হাত কেটে দাও।’ (সূরা আল মায়েদা : ৩৮)
আল্লাহ রাসূল সা:কে আরো বলেন, ‘ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী তাদের প্রত্যেককে এক শ’টি করে বেত্রাঘাত করো।’ (সূরা আন নূর : ২)
আল্লাহতায়ালা রাসূল সা:কে আরো বলেন, যারা সুদ খায়, তারা তার ন্যায় (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। এটা এ জন্য যে, তারা বলে, বেচাকেনা সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ বেচাকেনা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতএব, যার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে উপদেশ আসার পর সে বিরত হলো, যা গত হয়েছে তা তার জন্যই ইচ্ছাধীন। আর তার ব্যাপারটি আল্লাহর হাওলায়। আর যারা ফিরে গেল, তারা আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে। ( সূরা আল বাকারা : ২৭৫)
এমতাবস্থায় একজন মুমিন শাসক কেবল সালাত কায়েম করবে আর জাকাত আদায় করবে কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের সাথে পরামর্শ করবে না, চোরের হাত কাটার আইন বাস্তবায়ন করবে না, যেনাকারী নারী পুরুষের ওপর যেনার হদ বা শাস্তি আরোপ করবে না, সুদভিত্তিক অর্থনীতি বন্ধ করে ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করবে না; তা হতে পারে না। তেমনিভাবে একজন দাঈ ইলাল্লাহও নামাজ কায়েম ও জাকাত দানের দাওয়াত দেবে আর চোরের হাত কাটার এবং যেনাকারী নারী পুরুষের ওপর যেনার শাস্তি আরোপের দাওয়াত দেবে না, সুদভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা বন্ধ করে ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা চালু করার দাওয়াত দেবে না; তা হতে পারে না। কারণ উভয়টি আল্লাহর আদেশ। আল্লাহর এক আদেশ বাস্তবায়নের দাওয়াত দেবো আর অপর আদেশ কার্যকর করার দাওয়াত দেবো না তা কোনো মুমিন দাঈর কাজ হতে পারে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকেই এ ধরনের মুনাফেকি থেকে হেফাজত করুন। আর ইসলামকে সঠিকভাবে বোঝার তাওফিক দিন।
মোট কথা, পূর্ণ ইসলামের দাওয়াত দিতে গেলেই, ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে গেলেই ইসলামকে পলিটিক্যালভাবে গ্রহণ করতে হয়। কাজেই ‘নন-পরিটিক্যাল ইসলাম’ নামক কোনো জিনিসের অস্তিত্ব ইসলামে নেই। ইসলামিক স্কলার ও প্রফেসর, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।