বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ত্বকে বলিরেখা পড়তে থাকে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ঘরোয়া কিছু উপায়ে খুব সহজেই ত্বকের বলিরেখা দূর করা যায়। চলুন জেনে নেই করণীয়গুলো- ১) অ্যাভোকাডো সুপার ফুড নামে পরিচিত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড। যা ত্বকে বার্ধক্য বিরোধী প্রভাব ফেলে। তাই অ্যাভোকাডো ফলের পাল্প পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করলে বলিরেখা কমে যায়।
২) মধু অনেক রোগ নিরাময় করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন মুখের বলিরেখা পড়া স্থানে আঙ্গুল দিয়ে মধু ব্যবহার করতে পারেন। কয়েকদিন করলেই বলিরেখার সমস্যা কমতে শুরু করবে। ৩) আপেল সিডার ভিনেগারে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ও মধু পানির সঙ্গে মুখ ধুয়ে নিন। মুখের বলিরেখা কমাতে এটি খুবই উপকারী।
৪) ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারেও কমাতে পারেন বলিরেখা। আঙুল দিয়ে আক্রান্ত স্থানে ভিটামিন ই অয়েল রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করুন। বিজ্ঞানীর মতে, ভিটামিন ই বার্ধক্যজনিত বলিরেখা রোধ করে। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
৫) হলুদে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে। হলুদ ও আখের রস দিয়ে তৈরি ফেস মাস্ক মুখে ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের বলিরেখা দূর হয়। এটি সপ্তাহে দু’বার করুন।
৬) প্রতিদিন ত্বকে নারকেল তেল ম্যাসাজ করলেও ত্বকে বলিরেখা পড়ে না। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এর বাইরেও আছে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য, যা ত্বকের বলিরেখা আটকায়। ঘুমানোর আগে ত্বকে নারকেল তেল ম্যাসাজ করতে পারেন।
৭) অ্যালোভেরা জেল মুখের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ডিম মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে বলিরেখা কমে। এই প্রক্রিয়াটি প্রতিদিন একবার অনুসরণ করুন।
৮) পেঁপে এবং কলার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এটি ১৫-২০ মিনিটের জন্য মুখে রেখে দিন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে দু’বার করুন। পেঁপেতে আছে বিটা ক্যারোটিন আর কলাতে বার্ধক্য বিরোধী বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। সূত্র: স্টাইলক্রেজ