বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
সোনালু, কৃষ্ণচূড়া ও জারুল ফুল প্রকৃতিকে সাজিয়েছে ভিন্ন সাজে প্রচন্ড গরমে বরিশালের তৈরী হাত পাখা দেশব্যাপি মানুষের শরীর শীতল করছে, ভাল নেই পাখা কারিগররা সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের গণ মানুষের ঢল নেমেছে আনারস প্রতীকের পক্ষে মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালো দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন জলঢাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই স্কুল বন্ধ করার অভিযোগ কালীগঞ্জে পল্লী উদ্যোক্তাদের মাঝে বিআরডিবির ঋণ বিতরণ সৎ ও নিষ্ঠাবান উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবী-উল-কবির নকলায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ফটিকছড়িতে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বশর নামে এক সিএনজি ড্রাইভারকে মারধর! দুর্গাপুরে বিশ্বমা দিবস উপলক্ষে গাছের চারা বিতরণ

গণঅভ্যুত্থানের বিকল্প নেই : মির্জা ফখরুল

শাহজাহান সাজু :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১
জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী মুক্তি পরিষদ আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

গণঅভ্যুত্থানের বিকল্প নেই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৪ বছর যাবৎ সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি। এবার জনগণকে সাথে নিয়ে একটি গণঅভ্যুত্থানের কোনো বিকল্প নেই। আমরা সশস্ত্র সংগ্রামে বিশ্বাস করি না। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে বিজয় অর্জন করতে চাই। রুহুল আমিন গাজী আজকে সেই সংগ্রামটাই করছেন, সেই লড়াইটাই করছেন। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী মুক্তি পরিষদ আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকে সংবিধানের কথা বলছেন। কিসের সংবিধান? সরকার যেটা মুখে বলে সেটাই সংবিধান। আজকে আপনারা কোথায় বিচার চাইবেন? বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নাই। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নি¤œ আদালতে সাত বছর সাজা দেয়া হয়েছে আর সেটা হাইকোর্টে যাওয়ার পরে দশ বছর করা হয়েছে। যেই মামলার কোনো ভিত্তি নেই। যে মামলায় দুই কোটি টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটি এখন ওই ব্যাংকে আট কোটি টাকা হয়েছে। এই প্রশ্নগুলো এখন করে আর লাভ নেই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা গত ১৪ বছর যাবৎ দেখছি, আমরা প্রেসক্লাবের বাহিরে দাঁড়াবো সেটা দিচ্ছে না। আমরা আমাদের পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলবো, সেটাও তারা দিচ্ছ না। অর্থাৎ যখন জনগণ থেকে একটা সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তখন ওই পাওয়ার দিয়ে টিকে থাকার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। সরকার সেটাই করছে। আমাদের দাবি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিচালনায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন।
মির্জা ফখরুল বলেন, রুহুল আমিন সাহেবকে বেআইনিভাবে দশ মাস আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি শুধু একজন সাংবাদিক না, তিনি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। তিনি সর্বদা সত্য কথা বলেন, কাউকে ভয় পান না। যে কারণে আজকে তাকে একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ১০ মাস আটক করে রাখা হয়েছে। যে আইনে তাকে আটক করা হয়েছে সেটি একটি গণবিরোধী আইন। এটি মুক্ত সাংবাদিকতা বিরোধী আইন।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন কয়েক দিন আগে আমাদের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। তারা নিয়ম অনুযায়ী আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলো। সেখানে ১৫/১৬ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিল। তা দেখে সরকার আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে গেছে। আসলে সরকারের পায়ের নিচে মাটি নাই তাই একসাথে এত লোক দেখে তারা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে এবং ১৮৭ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। পায়ের নিচে মাটি না থাকলে এই ভয়টা হয়। সেখানে আমাদের আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, আমিনুল ইসলামসহ অসংখ্য নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেন, একটা জাতির সবচেয়ে বড় সর্বনাশ হলো সেই দেশের নাগরিকদের সৎ নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষমতা খর্ব করা। সেই জাতির সামনে আর কোনো ভবিষ্যৎ থাকে না। এই সরকার এই সর্বনাশটা করেছে, জাতিকে সৎ নেতা নির্বাচনের ক্ষমতাকে খর্ব করেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশ্য করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, এরা মানুষের জান বাঁচাতে পারবে না, জীবন বাঁচাতে পারবে না। এরা কেবল মানুষের জেলে দিতে পারবে, নির্যাতন করতে পারবে। খুন-গুম করতে পারত, এখন করতে পারবে কিনা জানি না। কারণ আমরা যত বলেছি তত শোনেনি। এখন গুম-খুন হওয়া ব্যক্তিদের খবর জানতে ৩০ তারিখ মায়ের ডাক অনুষ্ঠান করবে। আমরা বলেছি শোনেনি। এখন জাতিসঙ্ঘ ৩৪ জনের লিস্ট দিয়েছে, বলেছে এদের খবর জানতে চাই। জানাবে না? নাও জানাতে পারে। না জানাতে জানাতে নিজেরাই এক সময় অজানা জায়গায় চলে যাবে। তিনি বলেন, যে যেরকম করে পারেন, লড়াইটা ছাড়বেন না। খুব যে বেশি দিন লাগবে ব্যাপারটা এমন না। পতনের আগে যে রকম কাঁপতে থাকে এই সরকার তেমনি কাঁপছে। ওদের একেক জায়গার দুর্বলতা মানুষের সামনে প্রকাশ পাচ্ছে। পায়ের নিচ থেকে মাটি তাদের চলে যাচ্ছে।
মান্না বলেন, রুহুল আমিন গাজীকে যারা কোনো রকম সত্য কারণ ছাড়াই মিথ্যা অভিযোগে এত দিন ধরে গ্রেফতার করে রাখতে পারে তাদেরও একদিন পতন হবে। আসিফ নজরুল একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছে। সে কারো নাম বলেনি। ওদের গায়ে লাগলো কেন? কারণ ওদের অনেক লোক ফাস্ট হোম, সেকেন্ড হোম, থার্ড হোম করে রেখেছে বাইরে। টাকা-পয়সা জমিয়েছে। তাদেরও ওই অবস্থা হবে।
নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কবি আব্দুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানি, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com