সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন

মিরসরাইয়ে উজাড় হচ্ছে সরকারি বনাঞ্চল

কামরুল ইসলাম মীরসরাই (চট্টগ্রাম) :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের সবুজ বনায়ন নিধন যেন থেমে নেই। রাতের আঁধারে কেটে নেয়া হচ্ছে সবুজ বনাঞ্চলের মূল্যবান গাছ। উজাড় হচ্ছে মিরসরাই উপজেলা করেরহাটের সরকারি বনাঞ্চল। একশ্রেণির বনখেকো মানুষের থাবায় সাবাড় হচ্ছে এই সরকারি বনাঞ্চল। বিট কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেটে নেয়া গাছগুলো নিয়ে আসা হচ্ছে বিভিন্ন স’মিল ও কাঠের দোকানে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ বনদস্যুদের সাথে বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে। গত ৩ আগস্ট রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফটিকছড়ি উপজেলার হোয়াকো এলাকা থেকে ৪৫ পিস সেগুন কাঠ আটক করে করা হয়। এছাড়াও জুলাই মাসের ৮ তারিখে অবৈধ কাঠ সহ (১১-৭৮৯৯) নাম্বার প্লেটের একটি ট্রাক ফরেষ্ট গেইট দিয়ে অনায়াসে চলে যায়। অথচ এই ট্রাকের বিষয়ে আগে থেকে তথ্য দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। জানা গেছে, করেরহাট রেঞ্জের আওতায় ১২ হাজার ৯৪ একর বন ভুমি রয়েছে। এই বন সেগুন, মেহগনি, আকাশমণি, চাপালিশ, গামারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। গত মে মাস থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৯শ’ ৫০ ঘনফুট কাঠ উদ্ধার করেছেন বন কর্মকর্তারা। এগুলোর মধ্যে ৮০.৯৮ ঘন ফুট সেগুন, ৩.১৫ ঘন ফুট জ্বালানি কাঠ ৭২৪.৪৬ আকাশমনি ও ৮৬.১ ঘনফুট বিবিধ কাঠ। এছাড়া সরকারি বনের গাছ কাটা সংক্রান্ত ২টি পুলিশি মামলা সহ মামলা হয়েছে ১০টি। সর্বশেষ চলতি মাসের গাছ কাটা সংক্রান্ত মামলায় ২জনকে আটক করা হয়। এই বিষয়ে করেরহাট বিট-কাম চেক স্টেশনের বন কর্মকর্তা ময়েন উদ্দিন সাংবাদিকদের বসিয়ে রেখে বক্তব্য প্রদান করতে রাজি হননি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে করেরহাট রেঞ্জের ফরেস্ট গেটের স্টেশন অফিসার সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। কোন প্রকার বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং বলেন আপনাদের যা মন চায় লিখেন। সাংবাদিকদের সৌজন্য মূলক বসার জন্য বলেননি। অথচ তার পাশে দুটি চেয়ারে দোকানদার আব্দুল গফুর ও কাঠ ব্যবসায়ী আফসার কে নিয়ে বসে ছিলেন। এমনকি উক্ত ব্যক্তিদ্বয় সাংবাদিকদের সাথে স্টেশন অফিসার ময়েন উদ্দিন এর হয়ে কথা বলেন। করেরহাট বিটের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা এজেএম জসিম উদ্দিন এলাহী জানান, বনদস্যূদের সাথে বন কর্মকর্তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। করেরহাট চেক স্টেশনের মাধ্যমে সড়কে যাতায়াতকারী সকল কাঠের গাড়ি চেক করা হয়ে থাকে এবং অবৈধ কাঠ পেলে জব্দ করে থাকি। সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এসকে. মাহাবুব হাসান বলেন, আমি সদ্য জয়েন করেছি, তাই এ সকল অভিযোগের বিষয়ে এই মুহূর্তে অবগত নয়। তবে এরকম অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পেলে আমি আমার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ যারা এই অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। যারা দেশের সম্পদের ক্ষতি করছে তাদের বিরুদ্ধে আমার পক্ষ থেকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com