আগামী বছর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ চালু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল রোববার রাজধানীর বনানীতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘বিমান বন্দরের কাছে কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রায় ১১ কিলোমিটার অংশ আগামী বছর খুলে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত প্রথম ধাপের ৬৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আমি আশা করছি আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে প্রথম ধাপের কাজ শেষ হবে। এই অংশ আমরা চলাচলের জন্য খুলে দিতে পারবো। বাকি কাজ পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে আমরা শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত গড়ে ৩০ দশমিক ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের তিনটি ধাপ রয়েছে। কাওলা রেলগেট থেকে বনানী রেলস্টেশন একটা। দ্বিতীয় ধাপ বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত। তৃতীয় ধাপ মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। এই তিন ধাপে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ সম্পন্ন হবে। এর প্রথম ধাপের ৬৬. ২৫, দ্বিতীয় ধাপের ৪১.৫০ এবং তৃতীয় ধাপের ২.৩৬ শতাংশ কাজ হয়েছে। এই প্রজেক্টের কাজ কয়েকবার পিছিয়েছে। আগামী বছর সম্পন্ন হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগে ফান্ডিং সমস্যা ছিল, এখন সেই সমস্যা নেই।’
মগবাজারে রেল ক্রসিংয়ের সাথে এই প্রজেক্ট সাংঘর্ষিক হয়েছিল এ প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘কোনো সংঘর্ষ হবে না। যদি কাজের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন করতে হয়, তবে সেটা আমরা করবো। সেটা রেলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যেসব শ্রমিকরা কাজ করছেন, তারা দুই মাস বেতন পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। তাহলে আর্থিক সঙ্কট আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেক সময় ফান্ড আসতে একটু সময় লেগে যায়। তখন হয়তো একটু দেরি হতে পারে।’