ঢাকার ধামরাইয়ের নান্নার ইউনিয়নের ৮১ নং নান্নার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন স্কুলের টিন দরপত্র ছাড়া বিক্রির ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার উপজেলার নান্নার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পাকারাস্তায় এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকারী স্কুলের জিনিসপত্র এই ভাবে নিজেরদের ইচ্ছে মত বিক্রি করে সেই টাকা শিক্ষক ও কমিটির লোকজন ভাগবাটোয়ারা করে নিবে এটা মেনে নেয়া যায় না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হইয়ে যদি স্কুলের জিনিসপত্র বিক্রি করে সেই টাকা ভাগবাটোয়ারা করে তা হলে সেই শিক্ষক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কি শিক্ষা দিবে। অবিলম্বে এই দূর্নীতি করা প্রধান শিক্ষককে প্রত্যাহার ও কমিটি বিলুপ্তির দাবি জানান এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে কয়েকশত লোক নান্নার বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন। নান্নার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হক মোল্লার সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নান্নার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, নান্নার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন ও জামাল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা নিয়ামত মোল্লা,আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বক্তারা আরো বলেন, নান্নার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহসভাপতি ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ ফেরাজীর যোগসাজশে স্কুলের টিন বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ৮১নং নান্নার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৮/১০ মণ পুরাতন স্কুলের টিন বিক্রির অভিযোগ উঠে ওই স্কুলের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। পরে এঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে সৃষ্টি হয় আলোচনা সমালোচনা এবং গণমাধ্যমেও উঠে আসে এই দুর্নীতির খবর। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পরই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তার প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) তাজমুন নাহার। মানববন্ধন শেষে কয়েকশত লোক নান্নার বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং স্কুল কমিটি বিলুপ্তসহ দূর্ণিতীবাজ সদস্যদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন।