ঢাকার আশুলিয়ার বিভিন্ন সড়কে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে তিন চাকার যান। তবে হাইওয়ে পুলিশ বলছে লোকবলের স্বল্পতার কারণে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হিমশিম খাচ্ছে। এরপরও গত দুই দিনে প্রায় শতাধিক তিন চাকার যান (ব্যটারি চালিত অবৈধ থ্রি হুইলার, অটোরিকশা ও ইজিবাইক) জব্দ করা হয়েছে। সরেজমিনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, এসব সড়ক ও মহাসড়কে প্রতিনিয়তই উঠছে ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশা, অটোরিকশা, ইজিবাইক ও থ্রি-হুইলার। এসব তিন চাকার যান সড়ক মহাসড়কে উঠার ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। এগুলো যেন নিয়ন্ত্রণহীনভাবেই চলছে। সাভার হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, সাভার অঞ্চলে প্রায় ৮৮টি ফিটার রোড রয়েছে। এসব ফিটার রোডে হাজার হাজার ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশা, অটোরিকশা, ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার সহ তিন চাকার যান চলাচল করছে। এসব যান ফিটার রোড থেকে সরাসরি আবার মহাসড়কে প্রবেশ করছে। ফলে মহাসড়কে ঘটছে প্রতিনিয়তই ছোট-বড় দূর্ঘটনা। দূর্ঘটনার ফলে অনেক প্রাণ হানির ঘটনাও ঘটেছে। আবার অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করে দূর্বিষহ জীবন যাপন করছে। কিন্তু এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণ করা দূরুহ হয়ে দাড়িয়েছে। লোকবল স্বল্পতার কারণে হাজার হাজার এসব নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার, ব্যাটারি চালিত রিকশা-অটোরিকশা ও ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। তবে প্রতিদিনই এসব তিন চাকার যান জব্দ করা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে মামলাও। গেল দুই দিনে প্রায় ১২০ টির মত তিন চাকার যান জব্দ করে সাভার হাইওয়ে থানা ডাম্পিংয়ে পাঠিয়েছে। এছাড়া গেল ৯মাসে প্রায় ১২শতাধিক তিন চাকার যান যেমন-ব্যাটারি চালিত রিকশা-অটোরিকশ, ইজিবাইক জব্দ করে ডাম্পিং করা হয়েছে। সেই সাথে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দেয়া হয়েছে। সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সাজ্জাদ করিম খান জানান, মহাসড়কে চলাচলরত থ্রি-হুইলার কিংবা ব্যাটারি চালিত রিকশা অটোরিকশার বিরুদ্ধে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রতিদিন শত শত অবৈধ তিন চাকার যান জব্দ করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা। গত দুই দিনে প্রায় ১২০টি এবং গেল ৯মাসে ১২শতাধিক তিন চাকার যান জব্দ করে থানা চত্বরে ডাম্পিং করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কোষাগারে ত্রিশ লাখ ২৫ হাজার টাকা জমা করেছে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ। এছাড়া তিন চাকার যানের চালকেরা যাতে মহাসড়কে না উঠতে পারে সেজন্য মাইকিং সহ সচেতনামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে লোকবল স্বল্পতার কারণে এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।