জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে এবছরের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সোনালী আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অতিরিক্ত জমিতে পাট চাষ করছেন কৃষকেরা। এ বছরের পাটের দাম ভালো পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। গত বছর পাটের দাম মোটামুটি ভাল পাওয়ায় এবছরও অধিক জমিতে পাটের চাষ করছেন পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকেরা। চলতি বছরে বৃষ্টি কম হয়েছে, বৃষ্টি আর বেশি হতো তাহলে পাটের মান আরো ভাল হত কৃষকেরা আরও দাম ভালো পেতো। পাট কর্তন,পানিতে ডোবানো ও ধোয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই উপজেলা কৃষকেরা। অনেকে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর পর শুকায়ে বাজারে বিক্রয় করছেন।বাজারে প্রতি মণ বিক্রয় হচ্ছে পাট ২৭’শ থেকে ৩’হাজার টাকা দরে। প্রথমে দাম ২৩’শ থেকে ২৪’শ টাকা মণ ছিল। পাঁচবিবি উপজেলার কোতোয়ালীবাগ গ্রামের কৃষক আঃ আজিজ,রতনপুরের মামনুর রশিদ ও মালিদহ গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, বিঘা প্রতি জমিতে হালচাষ,সার-বীজ, সেচ-নিড়ানী, পাট কর্তন, ধোয়া শুকানো ব্যয় ৭-৮ হাজার টাকা হতে পারে। প্রতি বিঘায় পাট পাওয়া যাচ্ছে ১০-১২ মণ। ৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রয় করলে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা হয়। এতে খরচ বাদে বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ হবে। অপরদিকে পাটখড়ি পেয়ে কৃষাণীরা বেশ খুশি। পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন, উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অতিরিক্ত ১৫৫০’শ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। বাংলাদেশে গবেষণা দ্বারা উদ্ভাবিত রবি-১ ও ফালগুনি তোষা জাতের পাটের গুণগতমান আরো ভালো বলেও জানিয়েছেন এই কৃষি কর্মকর্তা।