জনমত সৃষ্টি ও দলীয় সমর্থন পেতে
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা আগাম প্রচারনায় মাঠে নেমেছেন। জনমত সৃষ্টি ও দলীয় সমর্থন পেতে দিন-রাত দোয়া/আর্শিবাদ চেয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এপর্যন্ত অর্ধশতাধীক মনোনয়ন প্রত্যাশী দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন।এর মধ্যে কালীগ্রাম ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলু মন্ডল, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেম্বার বাবলু চন্দ্র সরকার সুবাস, সাবেক চেয়ারম্যান আনিছার রহমান ও আব্দুল ওহাব চাঁন, যুবলীগ নেতা আবু মো: ইবনে সাঈদ চৌধুরী রাব্বী, আক্তার হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক, একডালা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আলী, সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেনের কন্যা শাহিনুর মন্ডল শাহী, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, যুবলীগ নেতা হারুন মোল্লা, আজিজার রহমান মেম্বার. মোস্তাফিজুর রহমান বাবু মুহুরী ও যুবলীগ নেতা বছির আলী মিঠু, পারইল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডা: দুলাল হোসেন, সম্পাদক সারোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী, আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, ছাত্রলীগ নেতা সুজিত কুমার সাহা, সেচ্ছা সেবকলীগ নেতা হাবিবুর রহমান শান্ত, বড়গাছা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শফিউল আলম শফু, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন মল্লিক মেম্বার, আব্দুল মতিন মাস্টার, আব্দুল আহাদ বাবুু এবং রেজাউল ইসলাম বেলাল, খট্রেশ্বর ইউনিয়নে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন জয়, চন্দনা শারমিন রুমকি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জামিউল ইসলাম জনি, কাশিমপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল মান্নান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ও সাবেক চেয়ারম্যান ইব্রাহীম মন্ডল, গোনা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত খান হাসান, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মজিদ, আবু সাইদ, আব্দুল খালেক, মিরাট ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল আলম, হাফেজ জিয়াউর রহমান, আলম হোসেন মেম্বার ও ফকরুল ইসলামসহ চেয়ারম্যান পদে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন জুরে সরকার দলীয় অর্ধশতাধীক মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে অধিকাংশ মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে নেমেছেন। তারা দিন-রাত ছুটে চলেছেন গ্রামে গ্রামে। সবার সাথে ছালাম, সমাচার বিনিময় এবং শারীরিক ও পারিবারিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন ভোটারদের। সেই সাথে নিজেদের নির্বাচনী প্রার্থীতার কথা জানান দিয়ে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। নওগাঁ জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়ে স্বচ্ছতা ও সর্বাধিক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন জানিয়ে কালীগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলু মন্ডল বলেন, গত ৫ বছরে ইউনিয়নে যে পরিমান উন্নয়ন করা হয়েছে এর আগে কেউ এতো উন্নয়ন করেছেন বলে মনে হয়না। এর পরেও বেশ কিছু অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য আবারো সুযোগ চান তিনি। বড়গাছা ইউনিয়নের মেম্বার মহসিন মল্লিক বলেন, সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে এবং ইউনিয়নের জনগনকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে ও এলাকার উন্নয়নকে আরো বেগবান করতে দলীয় মনোনয়ন চান তিনি। ছাত্রলীগ নেতা জামিউল ইসলাম জনি বলেন, চারদিকে তারুন্যের জয়গান। বর্তমান প্রজন্মই দেশের চালিকা শক্তি। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে তৃনমূল পর্যায়ে মানুষের জন্য কাজ করতে মনোনয়ন চান তিনি। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি আস্থাশীল জানিয়ে যুবলীগ নেতা রুহুল আমিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় অ-সাম্প্রদায়িক গনতান্ত্রিক ক্ষুধা দারিদ্র মুক্ত শোষনহীন সুখী সমৃদ্ধ ও উন্নয়ন আধুনিক সোনার বাংলা গড়তে দলীয় মনোনয়ন চান তিনি। যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন জয় বলেন, মাদক, সন্ত্রাস ও বাল্য বিবাহ মুক্ত এবং উন্নয়নশীল এলাকা গড়তে ও সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে মনোনয়ন চান তিনি। তবে যে প্রার্থী এলাকার উন্নয় ও জনগনের সেবা নিশ্চিত করতে পারবে খোঁজ খবর নিয়ে তাকেই যেন মনোনয়ন দেয়া হয় এমন দাবি জানিয়েছেন ভোটাররা। রাণীনগর উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক রুকুনুজ্জামান রুকু বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহনে এখনো কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। অংশগ্রহনের সিদ্ধান্ত আসলে দলীয় যোগ্য প্রার্থী দেয়া হবে। রাণীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু বলেন, জেলা কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী তালিকা প্রেরনের কাজ করা হবে। তবে অবশ্যই দলের নিবেদিত প্রান,সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে বাছাই করে প্রার্থীতার ব্যপারে সুপারিশ করা হবে।