হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ডাক্তার লেখার অধিকারসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক ছাত্র অধিকার সংগঠন। গতকাল বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এ দাবি করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘হাইকোর্ট হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করা বেআইনি ঘোষণা করেছে। এই মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আমাদের ডাকা হয়নি। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই আদেশ দিয়েছেন, যা হোমিওপ্যাথিক আইনের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্রাকটিশনার্স অর্ডিন্যান্স-১৯৮৩ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন -২০১৮ এর সেকশন ২ অনুসারে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করা বৈধ।’ তারা বলেন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং আফ্রিকায়সহ বিভিন্ন দেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ আইনগতভাবে নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করার অধিকার রাখেন।
হোমিওপ্যাথি শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ৪ বছর ৬ মাস কলেজে লেখাপড়া করি। সরকারি সব ফিস পরিশোধ করে সরকারের রেজিস্ট্রেশন নিয়েও নামের আগে কেন ডাক্তার লিখতে পারবো না? পেশাগত জীবনে আমারা যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে চাই।’
তাদের দাবি, গ্রামগঞ্জের অসহায় দরিদ্র মানুষের অবলম্বন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা। এ দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে হোমিওপ্যাথিক সেবা গ্রহণ করে অনেক জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে। তাই সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার ও ছাত্র-ছাত্রীদের ১১ দফা দাবি নিশ্চিত করা হোক। এছাড়া হোমিওপ্যাথিক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করাসহ স্বাস্থ্য খাতের ৪৫ শতাংশ বাজেট হোমিওপ্যাথিক এর জন্য বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন তারা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি হাইকোর্টের এক আদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।