লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করলেই সুস্থ্য হয়ে উঠবে মোহাম্মদ শাফিউজ্জামান মাহিব(৫) নামে শিশুটি। এমটাই বিশ্বাস মাহিব এর বাবা মায়ের।মাহিবের অসহায় বাবা-মায়ের কাছে চিকিৎসা করানো মত অর্থ তাদের কাছে নেই। ছেলের চিকিৎসার খরচ মেটাতে চাকরি ছেড়ে সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তারা।তারা ছেলের চিকিৎসার জন্য বিত্তশালী বা দয়াবানদের কাছে সহায়তা চান। জানাগেছে, ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাইচকুড়ি গ্রামেরা মোহাম্মদ বদিউজ্জামান এর ছেলে মাহিব। জন্মগতভাবে মাহিব ‘বিলিয়ারি এট্রেসিয়া’ রোগে ভুগছে। তাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন বাব-মা। গত পাঁচ বছরে তার চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বর্তমানে মাহিব ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালের এক চিকিৎসকের অধীনে রয়েছে। এর আগে তাকে কলকাতার ফর্টিস হাসপাতাল, ভেলরের সিএমসিতেও চিকিৎসা করানো হয়েছে। বাবা বদিউজ্জামান এক সময় গার্মেন্টসে চাকরি করলেও ছেলের চিকিৎসার জন্য সে চাকরি ছেড়ে দেন। ২০১৮ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দেন তার মা হাবিবা সুলতানা ও। ছেলের চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন।চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তারা বলেন, অপারেশনের মাধ্যমে মাহিব সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারে। এজন্য ১ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। তবে দ্রুত অপারেশন করতে হবে নইলে তাকে বাঁচানো অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। এ বিষয়ে শিশু মাহিব এর মা হাবিবা সুলতানা বলেন, ছেলেকে বুকে নিয়ে দিন-রাত কান্নাকাটি করি। জটিল রোগে আক্রান্ত ছেলেটিকে অপারেশন করে সুস্থ্য করা সম্ভব। কিন্তু এজন্য ১কোটি টাকা দরকার। এতো টাকা আমাদের কাছে নেই। তাই চোখের সামনে ছেলের করুণ পরিণতি দেখতে হচ্ছে। সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে ছেলের হাসিটা ধরে রাখতে পারতাম। মাহিবের বাবা মোহাম্মদ বদিউজ্জামান বলেন, ছেলের চিকিৎসার জন্য ভারতসহ বিভিন্ন হাসপাতালে দৌড়াতে হয় বলে আমরা চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। এখন আমরা অসহায়। নিষ্পাপ ছেলেটির চিকিৎসার ভার নিতে পারছি না। এখনও ২৫ লাখ টাকা ঋণে আছি। বিত্তবানরা সহযোগিতা করলে সুস্থ্য হতে পারে আমার ছেলে।