২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, ১৯৯০ সালে আমরা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছিলাম। এই সরকার সেই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কার্যত গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা হালিম বলেন, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী ও সংগ্রাম সম্পাদক জেলে। সাংবাদিকদের ভয় দেখাতে এখন আবার ১১ সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। কিন্তু এই দুঃসময়ে সাংবাদিকরা যে অবদান রাখছে তা জাতি মনে রাখবে। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সকল দাবির সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম অতীতে ছিল, এখনো আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমাদের নেতাদের রাজনৈতিক মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা চেয়েছিল আমাদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিবে। কিন্তু আমাদের নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদসহ অন্য নেতারা আমাদের বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে আমাদের হত্যা করা হচ্ছে। এই ইসলামী আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন তোমাদের। তাই আমি বলবো, জামায়াতে ইসলামী অতীতে এদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছিল, এখনো আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে। ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, বর্তমান সভাপতি ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাবেক সভাপতি বাকের হোসেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।