রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে ক্যাম্পে গুলি করে হত্যা
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। তাদের অনেকে মুহিবুল্লাহকে মানবাধিকারের চ্যাম্পিয়ন আখ্যা দিয়ে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার এক টুইটে লিখেছেনঃ “রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকারের একজন সাহসী চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডে শোকাহত ও বিচলিত। আমি তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আশা করি অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।” বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন টুইট করেছেনঃ
“আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস এর নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডে মর্মাহত ও শোকাহত। তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য এটি এক মর্মান্তিক ক্ষতি। আমার আন্তরিক সমবেদনা।” বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্নে গেরার্ড ভেন লিউইন টুইটে লিখেছেনঃ
“রোহিঙ্গা নেতা ও মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় মর্মাহত ও ব্যথিত। আমি তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আশা করি অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।”।
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে ক্যাম্পে গুলি করে হত্যা: আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে ক্যাম্পে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাতনামাদের গুলিতে তিনি নিহত হন। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (৮ এপিবিএন) পুলিশ সুপার (এসপি) শিহাব কায়সার খান জাগো নিউজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এশার নামাজের পর ক্যাম্পে নিজ অফিসে বসা ছিলেন মুহিবুল্লাহ। এ সময় অজ্ঞাতনামারা তাকে লক্ষ্য করে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তিনটি গুলি তার বুকে লাগে। পরে তাকে এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০১৯ সালের ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা শিবিরে মহাসমাবেশ করে আলোচনায় আসেন মুহিবুল্লাহ। একই বছরের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১৭ দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে ২৭ জন প্রতিনিধি অভিযোগ দেন মুহিবুল্লাহ ছিলেন তাদের একজন।