গোপালগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ^াসকে লাথি মারাসহ দু’ দফায় মারপিট এবং বরখাস্তের ঘটনায় মানববন্ধন, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আছমা খানমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির উপ মহিলা সম্পাদক মোসাঃ খাদিজা বেগম, গোপালগঞ্জ জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন মিশরী প্রমূখ। এ সময় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওই সহকারী শিক্ষা অফিসার শুধু একজন শিক্ষককে লাথি মারেননি। তিনি বিশ্বের সমস্ত শিক্ষকের বুকে লাথি মেরেছেন। এমন জঘন্য ঘটনা ঘটানোর পরও পরিকল্পিতভাবে প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে ওল্টো বরখাস্ত করা হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার এবং সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান বক্তারা। তা না হলে আরো কঠোর আন্দোলনেরও ঘোষণা দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ২৮নং উরফি বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ^াসকে লাথি মারেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গৌতম কুমার রায়। পরে ৫ অক্টোবর সকালে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে গেলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মহিদুল আলম মাহাত্তাব খানের লোকজন তাকে ডেকে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় গালিগালাজ ও মারপিট করে। এ ঘটনার পর থেকে মনোজ কান্তি বিশ্বাস গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।