মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের কানিহাটি গ্রামের জিন বিজ্ঞানী ধান গবেষক ড. আবেদ চৌধুরীর উদ্ভাবিত কানিহাটি-১ থেকে ১৬ আমন ধান আগাম কাটা শুরু হয়েছে। বিজ্ঞানীর উদ্ভাবিত নতুন জাতের আমন ধানের চারা রোপন করে নির্ধারিত সময়ের দেড় মাস আগে ধান কাটা শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার নতুন জাতের এই আমন ধান কেটে ঘরে তুলেন। সরজমিন গেলে দেখা যায়, জিন বিজ্ঞানী ও ধান গবেষক ড. আবেদ চৌধুরীর নিয়োগকৃত একজন কৃষক উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের ধান চাষাবাদ করছেন। ৩০ শতক জমিতে প্রদর্শণী হিসেবে কানিহাটি-১ থেকে কানিহাটি-১৬ আমন ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। জিন বিজ্ঞানীর নিজ গ্রামের নামে নতুন জাতের ধানের নাম রাখেন কানিহাটি। সাধারণত আমন ধানের বীজতলা তৈরী থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৪ মাস। এরপর আমন ধান কেটে ঘরে তুলতে হয়। আর অগ্রহায়ণ মাসেই আমন ধান কাটা হয়। তবে ড. আবেদ চৌধুরীর উদ্ভাবিত আমন ধান চাষাবাদে কম সময়ের এক মাস আগে আশ্বিন মাসেই এ ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। নতুন জাতের কানিহাটি-১ থেকে কানিহাটি-১৬ ধানের চাষাবাদকৃত কৃষক রাসেল জানান, এ বছর আমন প্রদর্শণী মাঠে ৩০ শতক জমিতে ১৪ মণ ধান হয়েছে। এ ধানে চিটার পরিমাণ নেই। এলাকার কৃষকরা এ আমন ধানের ফলন দেখে আগামী মৌসুমে চাষাবাদ করতে আগ্রহী হয়েছেন। কম সময়ে ভালো মানের উৎপাদন বলে তিনি দাবি করেন। মোবাইলফোনে অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী জানান, উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের ধানের নাম তার গ্রামের নামে কানিহাটি ১ থেকে ১৬ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আউশের সময় এক জমিতে ধান রোপনে ৩ বার ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। প্রথমবার চাষের পর আর পরবর্তীতে কোন চাষ দিতে হয়নি। সঠিক পরিচর্যায় ও সামান্য সার প্রয়োগে তিনবার ফসল কেটে ঘরে তুলা যায়। সে জমিতে এখন চতুর্থবারের মত ফসল এসেছে। এ পদ্ধতিতে সারা বছর ধান চাষ করে ফলন ভালো হবে।