শিক্ষাবিদ, লেখক জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
বার্ধক্যজনিত কারণে বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
গত মঙ্গলবার তার ছেলে আনন্দ জামান জানিয়েছিলেন, তার বাবার হার্ট, কিডনিতে জটিলতা রয়েছে।
এর আগে বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে গত ২৭ এপ্রিল রাজধানীর ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি হন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সেখানে চিফ কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক খন্দকার কামরুল ইসলামের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। পরে ৩ মে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (সিসিইউ) স্থানান্তর করেন।
কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ৯ মে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেও একই ধরনের সমস্যার কারণে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে একবার রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
খ্যাতিমান অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটে। ভারত ভাগের পর তারা এপারে চলে আসেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন আনিসুজ্জামান। এই ভূখণ্ডে ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদবিরোধী নানা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে তার।
এমআর/প্রিন্স