মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল ২৪ অক্টোবর রবিবার। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ কে এম হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে হাসপাতালের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নেছার আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, জেলা সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ, পৌরমেয়র ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, বিএমএ’র মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি ডাঃ সাব্বির হোসেন খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিয়াউর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আহমেদ ফয়সল জামান। অনুষ্ঠান শেষে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে প্রধান অতিথি অক্সিজেন প্ল্যান্টের শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মোস্তাক আহমদ। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ইউনিসেফ এ অক্সিজেন প্ল্যান্টটি বাস্তবায়ন করেছে। প্ল্যান্টটি সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও অক্সিজেন রিফিলের দায়িত্ব পালণ করবে ইউনিসেফ। অক্সিজেন প্ল্যান্টটির ধারণক্ষমতা ১১ হাজার লিটার তরল অক্সিজেন। প্রতিলিটার তরল অক্সিজেন থেকে ৮৬০ লিটার গ্যাসীয় অক্সিজেন উৎপন্ন হবে। হাসপাতালের প্রতিটি শয্যায় অক্সিজেন সরবরাহ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। রোগীর চাপ বিবেচনায় অতিরিক্ত সরবরাহ লাইন সংযুক্তির সুবিধা ছাড়াও, অপারেশন থিয়েটারসহ যেখানে প্রয়োজন সেখানেই অতিরিক্ত সরবরাহ লাইন সংযুক্তির সুবিধা রয়েছে। অক্সিজেন প্ল্যান্টটিতে ভ্যাকুয়াম পাইপলাইন সিস্টেমসহ তরল অক্সিজেন ট্যাংক, নাইট্রাস অক্সাইজ ও মেডিকেল ভ্যাকুয়াম রয়েছে। এতোদিন হাসপাতালটিতে সিলিন্ডারের মাধ্যমে রোগীদেরকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হতো। এতেকরে রোগীরা অনেকটা ঝুকিতে ছিলেন। করোনা দূর্যোগকালে বিশেষকরে করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রধান সমস্যা হয়ে দাড়ায় অক্সিজেন। কিছুটা দেরীতে হলেও অক্সিজেন প্ল্যান্টটি স্থাপনের ফলে, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি পরিপূর্ণ অক্সিজেন সক্ষমতা অর্জণ করলো। অক্সিজেন ভোগান্তি দূর হলো রোগী সাধারণের।