বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একটি মহল সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৫ মে) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধির মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধী সামগ্রী বিতরণের আগে নিজের বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কাদের বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল কেউ মৃত্যুবরণ করলে ঢালাওভাবে বলছে, করোনায় মারা গেছে। প্রকৃতপক্ষে মৃত্যুর পর যাদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, তাতে পজেটিভ-নেগেটিভ দু’টোই আসছে। অনেকে নানান শারীরিক জটিলতায় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করছে। কিন্তু সব মৃত্যু নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, নানা অপরাধমূলক কাজে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। কখনো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আইনের যাতে অপপ্রয়োগ না হয়, সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সজাগ রয়েছে। আমি আবার বলছি, কোথাও কোনো আইনের অপপ্রয়োগ ঘটলে বা ব্যত্যয় ঘটলে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে সেটা জানানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কাউকে অন্যায়ভাবে দোষারোপ করা হলে সেটা যেন অবশ্যই সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে জানানো হয়, সে ব্যাপারে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এছাড়া এক কোটি মানুষের মাঝে রেশন কার্ড চালু করা হয়েছে এবং ৫০ লাখ মানুষের মাঝে নগদ সহায়তা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। করোনার কারণে সৃষ্ট এ সংকটে ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা ও দক্ষতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা পঁচাত্তর পরবর্তী ইতিহাসে নজিরবিহীন।
ঈদকে সামনে রেখে এসব উদ্যোগ গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও মনে করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ আমাদের সবার জন্য একটি শোকের দিন, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে জাতির চেতনার জগতে এক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। তার বিদায়ে আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি-মূল্যবোধের জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। সাহিত্য-সংস্কৃতির এ বটবৃক্ষের স্বাধিকার স্বাধীনতা জাতীয় মুক্তির আন্দোলনে যে অপরিসীম অবদান, জাতি তা চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবনের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক। তিনি ছিলেন আমাদের মনন-মানসিকতা ও সৃজনশীলতার বাতিঘর। আমরা তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
পরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাঝে প্রতিনিধির মাধ্যমে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী সামগ্রী ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ও উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
এমআর/প্রিন্স