মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া’র বিশাল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারাপাশা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিলসহকারে ৫ সহস্রাধিক মানুষ অংশ গ্রহন করেন। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-রাজনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান খাঁন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অলিলা গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জিয়াউর রহমান জিয়ার বড় ভাই মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, টেংরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ টিপু খাঁন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী এবং রাজনীতিবিদ মোঃ আব্দুল বারী, কামারচক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুল মনাফ প্রমূখ। উপস্থিত অতিথিরা মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়াকে নির্বাচিত করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জিয়ায়াউর রহমান জিয়া তার বক্তব্যে বলেন, আমি ইউপি সদস্য হিসেবে এবং জনসেবায় দীর্ঘ ১২ বছর আপনাদের পাশে ছিলাম। এখন আপনাদের দোয়ায় পুরো ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নে পরিনত করতে চাই। তাই আসন্ন আগামী নির্বাচনে আপনাদের মহামূল্যবান ভোট দিয়ে আপনাদের সেবার কাজ করার সুযোগ করে দিবেন। আমি ইতিমধ্যে আমার বড় ভাই শিল্পপতি জিল্লুর রহমানের সহযোগিতায় কয়েক কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছি। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে এই কামারচাক ইউনিয়ন। অলিলা গ্রুপের অর্থায়নে এই কামারচাক ইউনিয়নের গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ , মন্দিরে অনুদানসহ, অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। অলিলা গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক জিল্লুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আমি আমার এই জন্মমাটির উন্নয়ন করতে চাই তাই ব্যক্তি ঊদ্যোগে কয়েক কোটি টাকার কাজ করেছি। কাজ কর?তে গিয়ে বুঝেছি নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যান থাকলে এই উন্নয়ন কাজে আরও গতি আনা সম্ভব। তাই আসন্ন নির্বাচনে আমার ছোট ভাইকে প্রার্থী করতে যাচ্ছি। আমার স্বপ্ন কামারচাক ইউনিয়ন হবে বাংলাদেশের একটি উন্নত ও মডেল ইউনিয়ন। আর তা বাস্তবায়ন করতে আসন্ন কামারচাক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জিয়াউর রহমান জিয়াকে ভোট দিয়ে অবহেলিত কামারচাক ইউনিয়নকে উন্নত, মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়তে ইউনিয়নবাসীর সমর্থন, দোয়া ও আর্শিবাদ প্রয়োজন। আমি প্রতিটি ওয়ার্রডের সমস্যা সম্পর্কে অবগত আছি। নিজে প্রতিটা ওয়ার্ডে গিয়ে মানুষের প্রয়োজন সম্পর্কে অবগত হয়ে সেভাবেই এলাকায় উন্নয়ন করে যাচ্ছি। আজীবন জন্মমাটির জন্য আমার এই চেষ্টা অব্যহত থাকবে।