শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বগুড়া শেরপুরে আগুনে পুড়লো পঁচিশ বিঘা জমির ভুট্টা ইসলামাবাদে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন বীর মুক্তিযোদ্ধার নির্মাণাধীন দোকানে সন্ত্রাসী হামলা বাগেরহাট নানান আয়োজনে মে দিবস পালিত ভালুকা বিশেষায়িত পেঁয়াজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন বরিশালে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভুট্টা মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকেরা, দ্বিগুণ লাভের আশা নগরকান্দায় অগ্নিকান্ডে চারটি দোকান ঘর ভস্মীভূত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে না-কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার গলাচিপায় পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা ও জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস পালিত

স্বরূপকাঠির রহমাত আলীর গবাদিপশু পালনে সফল

নিয়াজ মোর্শেদ (পিরোজপুর) স্বরূপকাঠি :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২১

দিন যায় থাকে শুধু কথা” আর সেই কথার সূত্র ধরেই আজ স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে একটা রোল মডেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। কাজে কর্মের মাধ্যমে আজ নিজ গ্রাম আরামকাঠীর গন্ডি পেরিয়ে নেছারাবাদ উপজেলার মধ্যে সর্বত্র চিনে বাংলার এম রহমাত আলী হিসেবে। বাল্য কাল থেকেই অন্যের চায়ের দোকানে কাজ করতেন। অভাব অনটন ছিল জীবনের নিত্য সঙ্গী। আর সেই কারণে পরের দোকানে রুটি তৈরি করতে হত প্রতিদিন।সেই ছোট্ট রহমাত বর্তমানে চায়ের দোকান নয় কিন্তু সততার মাধ্যমে পরিশ্রম করে আরামকাঠী সমবায় সমিতির মাধ্যমে একজন পাকাপোক্ত সমাজ সেবক হিসেবে অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে ইতিমধ্যে। চলতি সময়ে নেছারাবাদ উপজেলার মধ্যে একটি নাম, আর সেই নামটি হলো স্বরূপকাঠির রোল মডেল, এম রহমাত আলী। বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে আরামকাঠী সমবায় সমিতির নামে সমগ্র উপজেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ সরকারি বেসরকারি সকল মানুষের সুনজরে রয়েছে বাংলার এম রহমাত আলীর পরিচিতি। কঠিন সংগ্রাম করে আর একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। আর হ্যা আমরাও বলছিলাম সুপ্রিয় পাঠকদের জন্য বাংলার এম রহমাত আলীর কথা। নিঃসন্দেহে উপজেলার বেশির ভাগ লোকজন একনামে চিনে। আজ সেই রহমাত আলীকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে। আসলে সুত্যিকারের পরিশ্রম কখনোই বিফলে যায় না। আর সেই পরিশ্রম করেই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বাংলার এম রহমাত আলী।সমবায় সমিতি, নার্সারি শিল্প সহ মাল্টা চাষ,বৃক্ষ রোপনের পর নুতন প্রজেক্টের মধ্যে রয়েছে গবাদি পশু পালনের ফার্ম। আর সেই ফার্মের নাম রাখা হয়েছে নাদিয়া এগ্রো ফার্ম”। এ ব্যাপারে কথা হয় আরামকাঠী সমবায় সমিতির আইকন ও স্বরূপকাঠি উপজেলার রোল মডেল বাংলার এম রহমাত আলীর সাথে। সদা হাস্য উজ্জ্বল ও বিনয়ী স্বভাবের অধিকারী এবং মিষ্টভাষী মানুষকে দেখলে মনে হবে না উনি একজন সফল ব্যাবসায়ী। সাদাসিধা মনের মানুষটার সাথে কথা বলে জেলা ও উপজেলার গণ মাধ্যম কর্মীরা এক ধরনের হতভম্ব। এক কথায় একজন চমৎকার মাটির মানুষ বলা যায়। আর সেই মানুষটা গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন আমি একজন ছোট মানুষ। তবে আপনারা যতটা বলেন ততটা নই। সৃষ্টির শুরু থেকে আমি সমবায় সমিতির নিয়ম নীতি অনুযায়ী অফিস পরিচালনা করি। আর সেই কারণে আমি মহান আল্লাহর নাম নিয়ে এ পর্যন্ত আসতে পারিয়াছি। আমি বর্তমান সময়ের কথা চিন্তা ভাবনা করে গবাদিপশু পালনে আগ্রহ দেখাই।গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে একান্ত আলাপ চারিতায় এম রহমাত আলী বলেন, আমাদের উপজেলায় গবাদি পশুর বেশ চাহিদা। পাশাপাশি দুধের চাহিদা আরও বেশি রয়েছে সমগ্র উপজেলার মধ্যে। তাই সুপরিকল্পিত ভাবে শুরু করলাম। আর সেই থেকে প্রায় এক বছর পদার্পণও করেছি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এবং শতভাগ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে আমাদের নাদিয়া এগ্রো ফার্ম। সুসজ্জিত ও পরিকল্পিত ভাবে আমরা এগিয়ে চলছি সৃষ্টি কর্তার আর্শীবাদ নিয়ে। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমাদের উপজেলার মধ্যে আমরাই একমাত্র গবাদি পশুর ফার্ম। যাদের গো-খাদ্যের খরচ অন্য সব ফার্মের অর্ধেকেরও কম। আমাদের এই প্রজেক্টের মধ্যে নার্সারি শিল্পও রয়েছে। কাচা ঘাসের যোগান এখান থেকে পাই চাহিদার বেশির ভাগ। তাই বাড়তি টেনশন করতে হয় না আমাদের ফার্মের জন্য। আমরা দেশী কিংবা বিদেশি ছোট বা মাজারি বয়সের বিভিন্ন জাতের গরু ক্রয় করি। এরপর আমরা গরুগুলোকে লালন পালন করি স্বাস্থ্য বিধি মোতাবেক। পাশাপাশি দুধের চাহিদা অনুযায়ী আমরা শতভাগ সরবারহ করতে সক্ষম হইনি এখনো । তবে আগামী দুএক বছরের মধ্যে মাশেংর ও দুধের শতভাগ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ। বর্তমানে আমাদের গবাদিপশুর ফার্মে ১২৬ টি গরু রয়েছে। আগামী দুএক বছরের মধ্যে আমাদের ফার্মে ৩০০’শ অধিক গরু হবে। আমার দৃঢ বিশ্বাস আমার মত সুপরিকল্পিত প্ল্যান করে নুতন প্রজন্মের যুবকরা যদি এগিয়ে আসে গবাদিপশু পালনে। তাহলে উপকৃত হবে স্ব স্ব এলাকার বেশির ভাগ যুব সমাজ ।বেকারত্ব মুছবে গবাদিপশু ফার্মের মাধ্যমে।দেশে অর্থনৈতিক সম্মৃদ্ধ হবে। তবে মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন গবাদি পশুর ফার্মের জন্য সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকতে হবে। দায়িত্ব কোন রকম অবহেলা করা যাবে না। পাশাপাশি পশু পালনের বিষয়টি ভালো ভাবে রপ্ত করতে হবে প্রতিনিয়ত ।মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন আমার বিগত সময়ে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ উপজেলা সমবায় অফিস, পিরোজপুর জেলা সমবায় সমিতির অফিস ও বিভাগের সমবায় সমিতির অফিস কর্তৃপক্ষ আমাকে বহু বার রাষ্ট্রীয় সন্মান স্বরূপ বহু পদক প্রদান করেন। আসলে আমি একজন নির্ভেজাল দেশ প্রেমিক হয়ে দেশের কল্যানে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। গণমাধ্যম কর্মীদের শেষ প্রশ্ন আপনি সমবায় সমিতি সহ মাল্টা চাষেও দারুণ সফলতা পেয়েছেন। এবার কি গবাদি পশু পালনের জন্য জেলা সহ উপজেলার মধ্যে সফলতা বয়ে আনতে সক্ষম হবেন কি।একটু মিচকে হাসি দিয়ে বলেন, আমি যা কিছু করি মন দিয়ে করি। আসলে” মন যেখানে ধন সেখানে”। তাই মহান আল্লাহর নাম নিয়ে সফলতা পাবো ইনশাআল্লাহ। এ ব্যপারে উপজেলা পশু সম্পদ বিভাগের চিকিৎসক গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলেই এম রহমাত আলীর গবাদিপশুর ফার্ম আমাদের সুনজরে রয়েছে। বিজ্ঞান সন্মত ভাবে ও পরিপাটি পরিবেশ বজায় রেখে জলাবাড়ী ইউনিয়নে এম রহমাত আলীর, নাদিয়া এগ্রো গবাদিপশু ফার্মের অবস্থান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com