নির্বাচনের পরিবেশ বিঘœ ও নষ্ট করার চেষ্ঠা করলে সে যে কেউই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। প্রয়োজনে এমপি মন্ত্রীদের ক্ষেত্রেও নমনীয় হবে না নির্বাচন কমিশন। তিনি আরো বলেন, ‘ভোটকে কেন্দ্র করে কোন মায়ের বুক খালি হোক তা চায় না এই প্রতিষ্ঠান। আমি রাজশাহীর মানুষ হিসেবে বিশ্বাস করি, নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা থাকলে কারো মায়ের বুক খালি হবে না। ভোট হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ। সোমবার বিকেলে মোহনপুর উপজেলা হলরুমে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন’২১ উপলক্ষে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানে এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আগামী ২৮ নভেম্বরের ইউপি নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও জুডিশিয়্যাল ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোতায়েন করা হবে। কাউকে হয়রানী ও পক্ষপাতিত্বের জন্য নয়, বরং সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে কেউ লুট করতে এলে পুলিশ বসে থাকবে না, পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হবে। তিনি আরো বলেন, ‘নাগরিকের ভোট, ভোটের সরঞ্জাম রক্ষা ও সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তার জন্য বিধান রয়েছে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে ইসি সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কোন ক্রমেই সন্ত্রাসী ও বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।’ তিনি প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, কারো দ্বীর্ঘশ্বাস নিয়ে নির্বাচিত হবেন না। নিজেদের গায়ে দ্বীর্ঘশ্বাস লাগতে দিয়েন না। আমরা কিন্তু কাউকেই ছাড় দিবো না। পাশাপাশি তিনি জানান, ভোট সংশ্লিষ্টরা কোন স্বজনপ্রীতি ও স্বজনের আপ্যায়ন এবং পক্ষপাতপুষ্ট হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম বার। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাতে অবাধে যেতে পারেন, তার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখবো আমরা কিন্তু ভিতরের অবস্থা দেখবেন আপনারা। সবাই একসাথে নিরপেক্ষ কাজ করলে ২৮ তারিখের নির্বাচন হবে সুষ্ঠ ও অবাধ। অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল জলিল বলেন, ভোট গ্রহণ শেষে দ্রুততম সময়ে ভোট গণনা করে কেন্দ্রে ঘোষণা দিয়ে উপজেলায় রিপোর্ট করবেন। বেলা পাঁচটায় ভোট গ্রহণ শেষ হলেও অনেক কেন্দ্রে দেখা যায় রাত ১০টা বাজলেও ভোটগণনা শেষ হয়না। এসব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা বিপাকে পড়েন। পাশাপাশি নানা রকম গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে নির্বাচনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। তখন অযাতিত উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনকে বেগ পেতে হয়। তাই ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুততার সাথে ভোট গণনা করে ঘোষণা করবেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানওয়ার হোসেন, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিস সাইফুল ইসলাম,অফিসার ইনর্চাজ(ওসি) তৌহিদুল ইসলাম, মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন (অতিরিক্ত দায়িত্ব)।