রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ অপরাহ্ন

শীতের শুরুতে ফুটপাতে চলছে পিঠা তৈরির ধুম

ওয়াসিম হোসেন ধামরাই (ঢাকা) :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

শীতের শুরুতে ফুটপাতে চলছে পিঠা তৈরির ধুম। বাংলার চিরায়ত লোকজ খাদ্য সংস্কৃতিতে পিঠা-পায়েস একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। প্রতিবছরই শীতকালে দেশজুড়ে পিঠা তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়ে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে ধুম পড়ে যায় হরেক রকমের পিঠা বানানোর। কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর বা সন্ধ্যায় গাঁয়ের বধূরা চুলোর পাশে বসে পিঠা তৈরিতে কাটান ব্যস্ত সময়। অপরদিকে, অতিথি অ্যাপ্যায়নে বিশেষ করে জামাইদের দাওয়াত করে পিঠা খাওয়ানো হয়। গ্রামের পাশাপাশি শহরেও পাওয়া যায় শীতের পিঠার সু-বাতাস। সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন বাজারে ও রাস্তায় রাস্তায় পিঠা বানিয়ে বিক্রি করেন বিক্রেতারা।এই পিঠা তৈরি করে সংসার চালায় অনেকেই।দরিদ্রতার কারণে বেশির ভাগই পিঠা বিক্রেতা পিঠা বিক্রি করে পরিবারে অর্থ যোগান দিয়ে থাকে। অসচ্ছল পরিবারের মাঝে কিছুটা আর্থিক সচ্ছলতা আনার জন্য ফুটপাতে পিঠা বিক্রি করে তারা। আবার,সংসারে অর্থ উপার্জনের কেউ না থাকায় এই পিঠা তৈরি করে সংসার চালাচ্ছে। এরকম দৃশ্য চোখে পড়ে ছোট চন্দ্রাইল,ধামরাই ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডে,ধামরাই বাজার,শরীফবাগ বাজার, দেপাশাই আমতলী বাজার, সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের সম্মুখের বাজার, কালামপুর বাজার ও বাসস্ট্যান্ডে, কুশুরা বাজারে ভ্রাম্যমান পিঠার দোকান দেখা যায়। এদের বেশিরভাগই শীত আসলে পিঠার দোকান নিয়ে রাস্তার পাশে বসে পিঠা বিক্রি করে।পুরো শীত পর্যন্ত চলে এই পিঠার ব্যবসা। শতাধিক ধরনের পিঠার প্রচলন রয়েছে বাংলাদেশে। কালের গভীরে কিছু হারিয়েও গেছে। তবে রাস্তার পাশের পিঠার এই দোকান গুলোতে কয়েক ধরনের পিঠা পাওয়া যায়। ভাপা পিঠা, নকশি পিঠা, চিতই পিঠা, রস,ডিম চিতই পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করতে দেখা যায়।একেক ধরনের পিঠার দাম একেক রকম। তবে চিতই পিঠা বিক্রি হয় হরেক রকমের ভর্তা দিয়ে। শুটকি, মরিচের, ধনে পাতার,সরিষার ভর্তা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে এই পিঠা। গ্রামাঞ্চলে শীতের পিঠা তৈরিকে যেমন উৎ?সব হিসেবে গণ্য করা হয় সে তুলনায় শহরে খুব কমই চোখে পড়ে পিঠা-পুলির বাহার। তবে ইদানীং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত শীতের পিঠা উৎ?সব সাড়া ফেলে দেয় শহুরে জীবন। এছাড়া শহরের পথে-ঘাটে বা ফুটপাতে পিঠা কেনাবেচা হয় পুরো শীতকাল জুড়েই। প্রায় প্রতিটি রাস্তার পাশেই চোখে পড়ে অস্থায়ী পিঠার দোকান। বেশির ভাগ শীতকালেই এ সব দোকান বসে থাকে।আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে শীত মৌসুমে এই সব দোকান বসে। কিছুটা হলেও পরিবারে আর্থিক সহায়তা করা সম্ভব হয়। পিঠা বিক্রেতা রেনু বেগম বলেন স্বামী-জাকারিয়া সা-মাহিগঞ্জ চন্দ্রনিয়া থানা- বরুঙ্গুবাড়ি জেলা- কুড়িগ্রাম আমাদের সংসারে অভাব-অনটন এর মধ্য দিয়ে চলছিল গ্রামের বাড়িতে থেকে যে টাকা রোজগার হতো সেই টাকা দিয়ে সংসার চলতো না। গ্রামের মানুষের মুখে শুনি ঢাকা শহরে টাকা উড়ে।তাই আমি ও আমার স্বামী ৮ বছর পূর্বে ঢাকা শহরে কালামপুর এলাকায় এসে বাসা ভাড়া নিয়ে দিন মজুরি হিসেবে কাজ করতে থাকি। আমি ও আমার স্বামী চিন্তা করলাম কাজ শেষে বসে থাকার চেয়ে পিঠা বিক্রি করলে অনেক টাকা রোজগার হবে। তাই ছোট ছোট দুইটি মাটির চুলা বানিয়ে পিঠা বিক্রি করেত থাকি।আমি ৮ বছর যাবত কালামপুর বাজারে পিঠা বিক্রি করি। প্রতিদিন ১৫-২০ কেজি চাউলের পিঠা বিক্রি করি। আমার প্রতি দিন প্রায় ১ হাজার টাকার বেশি লাভ হয়। আমার সংসারে একটি কন্যা ও স্বামী নিয়ে অনেক সুখে আছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com