প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে দেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে এবং আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের জন্য সীমিত পরিসরে শপিংমলসহ বেশকিছু সরকারি মন্ত্রণালয় খুলে দিয়েছে সরকার।
যদিও শুরু থেকেই রাাজধানীসহ দেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহরে ব্যাংকগুলো সীমিত আকারে খোলা রাখা হয়েছিলো। আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন করে একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
বলা হয়েছে, তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মীদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধ এবং রফতানি বিল ক্রয়ের জন্য পোশাক শিল্পঘন এলাকায় আগামী শুক্রবার ও শনিবার (২২ ও ২৩ মে) তফসিলি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।
আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপার ভিশন’ এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে এবং রফতানি বাণিজ্য সচল রাখার স্বার্থে অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে রফতানি বিল ক্রয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাকশিল্প এলাকার তফসিলি ব্যাংকের পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহ ও প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণপূর্বক আগামী ২২ ও ২৩ মে নিম্ন সময়সূচি অনুযায়ী খোলা রাখতে হবে।
২২ মে (শুক্রবার) ব্যাংকিং লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
২৩ মে (শনিবার) ব্যাংকিং লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলবে। এরমধ্যে বেলা ১টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
এমআর/প্রিন্স